এক চীন নীতিতে অটল থাকবে যুক্তরাষ্ট্র বলে বিশ্বাস করে চীন। যুক্তরাষ্ট্রের নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট এবং তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট মিস সাইয়ের মধ্যে ফোন আলাপের পর সৃষ্ট বিতর্কের মাঝে এ মন্তব্য করলেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই।
প্রতিক্রিয়ায় ওয়াং ই বলেছেন: ট্রাম্প ও সাই এর মধ্যে এই আলোচনা তাইওয়ানের একটি ‘ক্ষুদ্র কৌশল’ এবং এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের চীন নীতিতে কোন পরিবর্তন ঘটবে না বলেই তারা আশা করছেন।
তাকে উদ্ধৃত করে সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ‘চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্কের ভিত্তি হলো এক চীন নীতি। আমরা আশা করবো রাজনৈতিক এই ভিত কোনভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত হবে না।’
তাইওয়ানের সাথে আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক না থাকলেও গত চার দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র অনানুষ্ঠানিক সুসম্পর্ক বজায় রেখেছে।
তবে, যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ানের মধ্যে কর্মকর্তা পর্যায়ে এবং সামরিক যোগাযোগের বিরোধিতা করে আসছে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
ট্রাম্প-সাই ফোন আলাপের পর হোয়াইট হাউজ বলেছে, এক চীন নীতির ব্যাপারে তারা অটল রয়েছে।
এর আগে, দীর্ঘ ৩৭ বছরের নীরবতা ভেঙ্গে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন।
দুই প্রেসিডেন্ট ‘গভীর অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক এবং নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পর্ক’ নিয়ে কথা বলেন।
১৯৭৯ সালে তাইওয়ান ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সব ধরণের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার পর এবারই প্রথম দু’দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে সরাসরি কথা হলো।