চট্টগ্রাম থেকে: বাংলাদেশি তরুণ পেসারদের ডেথ ওভারের বোলিং দিনকে দিন দৃষ্টিকটু হচ্ছে। সাইফউদ্দিন থেকে তাসকিন আহমেদ; নতুন-পুরনো সবার বোলিংয়ের অবস্থা প্রায় একই। আগের দিন আলোচনায় ছিলেন সাইফ। এদিন ম্যাচ শেষে ভাইকিংস অধিনায়ক লুক রঞ্চির সংবাদ সম্মেলনে উঠে এল তাসকিন প্রসঙ্গ।
ভাইকিংস ৯ ম্যাচের সাতটিতে হেরে আসর থেকে ছিটকে যাওয়ার মুখে। টুর্নামেন্টে তাসকিন ১২ উইকেট পেলেও শেষের ওভারগুলোতে রান দিচ্ছেন প্রচুর। এর মধ্যে রংপুরের বিপক্ষে নিজেদের অষ্টম ম্যাচে শেষ বলে ছয় হজম করে জয় হাতছাড়া করেন।
তাসকিনের বোলিংয়ের বিষয়ে মন্তব্য করতে যেয়ে রঞ্চি বলেন, ‘তাসকিন আমাদের অন্যতম প্রধান পেস বোলার। শুরুতে সে উইকেটে পাচ্ছে। এটা ভালো দিক। শেষ দিকে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। হয়তো সেভাবে হচ্ছে না।’
রঞ্চির কথা একদম ফেলে দেয়া যায় না। তাসকিন শুরুতে খুব একটা খারাপ বল করছেন না। দ্বিতীয়, তৃতীয় ম্যাচে তিনটি করে উইকেট দখল করেছিলেন। এরপর আরও এক ম্যাচে তিন উইকেট নেন। কিন্তু রানটা খরচ করছেন বেশি। যার অধিকাংশ আসছে ওই ডেথ ওভার থেকে।
তাসকিন এখন পর্যন্ত ১২টি উইকেট নিয়ে সর্বাধিক উইকেট শিকারির তালিকায় তৃতীয়। রান খরচের দিক থেকে প্রথম! ২৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭০ রান দিয়েছেন। তাসকিন ছাড়া আরেক তরুণ পেসার সাইফ উদ্দিন চট্টগ্রাম পর্বে এসে শেষ ওভারে ৩২ রান দিয়ে লজ্জার রেকর্ড গড়েছেন। বিপিএলের ইতিহাসে ওভারে এটিই সবচেয়ে বেশি রান দেয়ার নজির। অথচ ওই দিন প্রথম তিন ওভারে ১৮ রান দিয়ে তিনটি উইকেট দখল করেন তিনি। জাতীয় দলে খেলার সময়ও ডেথ ওভারে সাইফের দুর্বলতা দেখা গেছে। বিশেষ করে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে।
এবার কাগজে-কলমে শক্তিশালী দল গড়েও ভালো করতে পারছে না চিটাগং। সোমবার ১৮৭ করেও হারতে হয় তাদের।
এমন হারের ব্যাখ্যা দিতে যেয়ে রঞ্চি বলেন, ‘টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে আমরা চেষ্টা করেছি। এই ম্যাচে আরও ২০ রান বেশি আশা করেছিলাম। কিন্তু মিডলঅর্ডারের কয়েকটি ওভারের কারণে সেটি হয়নি। টি-টুয়েন্টি এমনই। ছোটো ছোটো ভুল পার্থক্য গড়ে দেয়।’