চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

চিকিৎসায় নোবেল পেলেন যুক্তরাষ্ট্রের দুই বিজ্ঞানী

শরীরে উষ্ণতা এবং স্পর্শ কিভাবে কাজ করে- তা দেখিয়েছে তাদের আবিস্কার

মানুষের শরীর কিভাবে উষ্ণতা এবং স্পর্শের অনুভূতি অনুভব করে, তার রাসায়নিক কাঠামো (রিসেপ্টর) আবিস্কার করে এ বছর চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক দুই বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াস এবং আর্ডেম পাটাপুটিয়ান।

জুলিয়াসের জন্ম যুক্তরাষ্ট্রে আর যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণারত পাটাপুটিয়ানের জন্ম লেবাননের বৈরুতে। এই দুই বিজ্ঞানী তাপ, ঠাণ্ডা এবং স্পর্শ কীভাবে আমাদের স্নায়ুতন্ত্রের সংকেত দেওয়া শুরু করতে পারে তার ব্যাখ্যা করেছেন। যা আয়ন চ্যানেল চিহ্নিতকরণ অনেক শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়া এবং রোগের অবস্থার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪টার দিকে তাদের নাম ঘোষণা করে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।

এক টুইট বার্তায় প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, তাদের গবেষণা আমাদের বুঝতে শিখিয়েছে কীভাবে তাপ, ঠাণ্ডা এবং যান্ত্রিক শক্তি স্নায়ু আবেগের শুরু করতে পারে যেটা আমাদের চারপাশের জগৎকে উপলব্ধি করতে এবং মানিয়ে নিতে সাহায্য করে।

চিকিৎসাশাস্ত্রে নোবেল ঘোষণার মধ্যে দিয়ে শুরু হলো এবছরের নোবেল আয়োজন। এরপর ৫ অক্টোবর পদার্থবিজ্ঞানে, ৬ অক্টোবর রসায়নে, ৭ অক্টোবর সাহিত্যে, ৮ অক্টোবর শান্তি এবং শেষে ১১ অক্টোবর অর্থনীতিতে নোবেল ঘোষণা করা হবে।

নোবেল পুরস্কার হিসেবে বিজয়ী একটি গোল্ড মেডেল ও ১০ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার পান। ১২০ বছর আগে ১৯০১ সালে ৫টি বিভাগে প্রথম নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। পরে অর্থনীতিতেও নোবেল দেওয়া শুরু হয় ১৯৬৮ সালে।

১২৪ বছর আগে আলফ্রেড নোবেল যে তহবিল তৈরি করেছিলেন তা থেকে নোবেল জয়ীদের পুরস্কারের অর্থ দেয়া হয়।