চাল-ডাল তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশের সভাপতি ফয়জুল হাকিম বলেন, বাংলাদেশ এখন ব্যবসায়ী শ্রেণীর দখলে। জাতীয় সংসদের ৮০ শতাংশ সদস্যই ব্যবসায়ী। সরকার এই ব্যবসায়ীদের সেবায় কাজ করছে। তিনি বলেন, করোনাকালে সাধারণ মানুষ কাজ হারিয়ে, অনেকের বেতন অর্ধেক হয়েছে অন্যদিকে চাল ডাল তেল নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি হয়ে জীবনযাত্রা ব্যয় বৃদ্ধি পেয়েছে। জীবন দূর্বিসহ হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতি মেনে নেয়া যায় না। ফ্যাসিবাদী শাসকের বিরুদ্ধে আজ ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
দেলওয়ার হোসেন বলেন, ঠাকুরগাঁয়ে খেতে না পেয়ে এক মা দুই শিশু নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এর নাম কি উন্নয়ন আমরা জানতে চাই। শেখ হাসিনার দলের লোকেরা দুর্নীতি লুটপাট করে বিদেশে অর্থ পাচার করে চলছে।
হেমন্ত দাষ তার বক্তৃতায় বলেন, করোনাকালে মানুষ কিভাবে বেঁচে আছে সরকার তার খোঁজ রাখে না। তিনি বলেন, “মুক্তিযুদ্ধের চেতনা উন্নয়ন” এসব কি খায় না মাথায় দেয়- জনগণ জানে না। লুটেরা সন্ত্রাসী দূর্ণীতিবাজ মাফিয়াদের হাত থেকে দেশ রক্ষায় জনগণকে এগিয়ে আসতে হবে।
শামসুল আলম বলেন ২৫টি পাটকল, ৬টি চিনিকল বন্ধ করে লক্ষ শ্রমিককের বেকার করে সরকার শ্রমিকের পেটে লাথি মেরেছে। এই ব্যবসায়ীদের সরকার হঠিয়ে শ্রমিক কৃষকের সরকার কায়েম করতে হবে।
জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল সম্পাদক ফয়জুল হাকিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন নেতা দেলওয়ার হোসেন, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল ঢাকা অঞ্চল সংগঠক হেমন্ত দাষ, রিক্সা মজদূর ঐক্যের নেতা শামসুল আলম ও পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের দপ্তর সম্পাদক রাজেন্তু চাকমা।