চাল আমদানিতে ‘শুন্য মার্জিন’ ঋণপত্র (এলসি) খোলার সুযোগ প্রত্যাহার করে নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে এখন থেকে আর বিনা মার্জিনে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করতে পারবেন না ব্যবসায়ীরা।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ (বিআরপিডি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গত বছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে দেশে চালের সংকট তৈরি হয়। তাই বাজারে সরবারহ পর্যাপ্ত রাখার জন্য আমদানিতে শুন্য মার্জিন অর্থাৎ বাকীতে চাল আমদানির সুযোগ দেওয়া হয়। এছাড়া চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের ঋণ ৪৫ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের মধ্যে সমন্বয় করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই সুবিধা প্রদান করা হয় গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
এতে আরও বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে দেশের আবহাওয়া ধান চাষের অনুকূলে থাকায় চলতি বছর ধানের উৎপাদন সন্তোষজনক হয়েছে। কৃষক ও স্থানীয় চাল উৎপাদকদের ধান ও চালের নায্য মূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করাসহ কৃষকদের ধান চাষে উৎসাহ প্রদানের জন্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে।
সরকার খাদ্য শস্যের মজুদ কাংক্ষিত পর্যায়ে সংরক্ষণের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে উল্লেখ করে ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এজন্য চাল আমদানির ক্ষেত্রে ঋণ ঝুঁকি বিবেচনায় ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে মার্জিনের হার নির্ধারণ করে ঋণপত্র খোলার জন্য পরামর্শ প্রদান করা হয়। কোন অবস্থায় শূন্য অর্থাৎ বাকীতে এলসি খোলা যাবে না। এছাড়া আগের মতই ৪৫ দিনের মধ্যে চালের ঋণ সমন্বয় করতে হবে।
এতদিন চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীদের ঋণ ৪৫ দিনের পরিবর্তে ৩০ দিনের মধ্যে সমন্বয় করার নির্দেশনা ছিল।
এর আগে গত ৭ জুন ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে চাল আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার করে পূনরায় ২৮ শতাংশ শুল্ক বসিয়েছে সরকার।