চালের দাম কমবেশি প্রায় প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে। এই বাড়তি দাম মিল মালিকরা দাম বাড়াননি জানালেও পাইকারি বিক্রেতারা দোষ দিচ্ছেন খুচরা ব্যবসায়ীদের।
দায় এড়ানো আর দোষারপের এই পরিস্থিতিতে নিরুপায় জনগণ। অন্তত তিন মাস পরে কৃষকের ঘরে বোরো ধান উঠবে, আর সেসময়ই কেবল কমতে পারে চালের দাম।
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা বাজারে মিনিকেট ৫৫ টাকা, আটাশ ৪০ টাকা ও নাজিরশাইল ৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে। গত সপ্তাহে যা বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকা, ৩৬ টাকা ও ৫৫ টাকায়। কেজি প্রতি বাড়তি এই দামের বোঝা টানতে হচ্ছে জনগণকে।
এই অবস্থায় চালের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ মনিটরিং টিম গঠন করেছে সরকার। কারসাজির মাধ্যমে কেউ যাতে চালের বাড়াতে না পারে তার পদক্ষেপ হিসাবে খাদ্য মন্ত্রণালয় এ টিম গঠন করেছে।
বুধবার খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দিয়ে বলেন, ধানের দামের সঙ্গে চালের দামের সামঞ্জস্য রাখতে হবে। কোন ক্রমেই যেন মিল মালিক এবং ব্যবসায়ীরা বাড়তি সুবিধা না নিতে পারে। কৃষক যেন ন্যায্যমূল্য পান, অন্যদিকে ভোক্তারাও যাতে সহনীয় দামে চাল কিনে খেতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে।
এ সময়ে মন্ত্রী চালের বাজার অস্থিতিশীল করতে কেউ যদি কারসাজির চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও খাদ্যশস্যের বাজার মূল্যের উর্ধ্বগতির প্রবণতা রোধ, নিম্ন আয়ের জনগোষ্ঠীকে সহায়তা প্রদান এবং বাজারদর স্থিতিশীল রাখা, কৃষকদের ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করার স্বার্থে খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য অধিদপ্তরের অধীনে মোট ৭টি বাজার মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। এসব টিমের কার্যকারিতা নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও প্রাথমিক অবস্থায় এটি ইতিবাচক বলে আমাদের মনে হয়েছে।
জনভোগান্তি কমাতে সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন ও জনপ্রতিনিধিদেরও এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় চালসহ নিত্যপণ্যের দাম জনসাধারণের নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে আমাদের আশাবাদ।