বিদেশী নাগরিকদের প্রতারণার অর্থপাচারে ১২টি ব্যাংককে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।
নাইজেরিয়ার চার নাগরিকসহ আটক সাত প্রতারক এবং দুই মানবপাচারকারীর বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে বৃহস্পতিবার ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
আটককৃত হলেন- জন আগডি ইউজিও, লিজা আক্তার, আফেজ, মহসিন শেখ, তাসমিয়া পারভীন, মাইকেল ইউজিনি ব্রাউন ও নামডি কেলভিন। অার মানবপাচারকারী হিসেবে অাটক দুইজনের নাম জামাল হোসেন ও মজিবুর রহমান।
আব্দুল বাতেন বলেন, প্রতারকদের অর্থ এ দেশ থেকে বিদেশে পাচার করতো এমন ১২টি ব্যাংকের তথ্য আমরা পেয়েছি। আটক লিজা আক্তারের নামে এ পর্যন্ত ওই সব ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা লেনদেন হওয়ার প্রমাণ পেয়েছি। এসব টাকা অসাধু মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের যোগসাজসে পাকিস্তানি নাগরিক দানেশ রিজভী নামের একজনের কাছে পাঠায় চক্রটি।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের কোন নাগরিকের ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট খুলতে হলে ভেরিফিকেশনের জন্য নানা ধরণের ডকুমেন্ট দিতে হয়। তবে তারা কীভাবে এসব অ্যাকাউন্ট খুলে ভিকটিমদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে এ বিষয়ে আমরা ভাবছি। বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর যে কোন বিষয়ে তদন্তের দায়ভার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) হাতে ন্যস্ত।
“তবে এটা বলতে হবে যে, মামলার তদন্তে ব্যাংকগুলো আমাদের অনেক সহযোগিতা করেছে। এ বিষয়ে প্রতিনিয়তই আমরা ব্যাংকগুলোর সঙ্গে কথা বলছি।”