কুমিল্লা, রাজবাড়ী, সিরাজগঞ্জ ও টাঙ্গাইলে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ আর ‘গোলাগুলিতে’ মোট পাঁচজন নিহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এসব ঘটনা ঘটেছে বলে পুলিশ ও র্যাব সূত্রে জানা গেছে। বন্দুকযুদ্ধকালে আহত হয়েছে তিন পুলিশ সদস্য।
কুমিল্লা
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় গোয়েন্দা পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে ২ ডাকাত নিহত হয়েছে। গোলাগুলিতে আহত হয়েছে অন্তত ৩ পুলিশ সদস্য। এসময় আরো ৫ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে ২টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ বিভিন্ন ধরনের দেশীয় ধারালো অস্ত্র। বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটায় এ ঘটনা ঘটে।
কুমিল্লা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার উত্তর মোঃ শাখাওয়াত হোসেন জানান, ডাকাতির প্রস্তুতির গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতারা পুলিশের উপর গুলি ছোড়ে, আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়লে উভয় পক্ষের গোলাগুালিতে আল আমিন ওরফে কাওসার ও এরশাদ মিয়া নামে দুই ডাকাত নিহত হয়।
নিহত আল আমিন তিতাস উপজেলার মানিকনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে এবং এরশাদ মিয়া কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলার কংশনগর গ্রামের নুরুল ইসালের ছেলে।
নিহত ও গ্রেফাতরকৃতদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতির মামলা রয়েছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা তিতাস থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
সিরাজগঞ্জ
সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়েছে। র্যাব ১২ ক্যাম্প কমান্ডার সাকিবুল ইসলাম খান জানান, রাত আড়াইটার দিকে জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার শ্মশান ঘাট এলাকায় র্যাবের সাথে বন্দুকযুদ্ধে একজন নিহত হয়।
নিহত হযরত আলী ডাকাত সদস্য বলে দাবি করছে র্যাব। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ২টি শুটার গান, ১৪টি কার্তুজ, ১টি হাসুয়া,১কুড়াল ও ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্য্যা হাসপাতালে রাখা হয়েছে।
রাজবাড়ী
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলায় পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে লালন হালদার (৪৫) নামে একজন নিহত হয়েছে। নিহত লালন পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের জীবন হালদারের ছেলে। পুলিশের দাবি লালন চরমপন্থি জুলহাস বাহিনীর সদস্য। লালনের বিরুদ্ধে পাংশা ও সুজানগর থানায় হত্যাসহ বিভিন্ন ধরনের চারটি মামলা আছে।
টাঙ্গাইল
টাঙ্গাইলের মধুপুরে দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের মাঝে ‘গোলাগুলিতে’ মাদক মামলার আসামী ও সাবেক ইউপি সদস্য মাসুদ রানা ফরিদ (৪২) নিহত হয়েছে।
শুক্রবার ভোরে উপজেলার মাগন্তিনগর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত ফরিদ পুলিশের তালিকাভুক্ত আসামী। তার বিরুদ্ধে মধুপুর থানায় ৫টি মাদক মামলা রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহাদুজ্জামান মিয়া জানায়, শুক্রবার ভোরে মধুপুর উপজেলার অরণখোলা ইউনিয়নের জলছত্র মাগন্তিনগর এলাকায় দু’দল মাদক ব্যবসায়ীদের মধ্যে মাদক বেচাকেনা ও টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে বিরোধ হয়। এরপর দু’পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ খবর পেয়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ফরিদের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
নিহত ফরিদ অরণখোলা ইউনিয়নের কাকরাইদ গ্রামের মৃত শামছুল মন্ডলের ছেলে। সে পুলিশের তালিকাভূক্ত আসামী ও সাবেক ইউপি সদস্য।