বিশপের ধর্ষণ কেলেঙ্কারীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় বরখাস্ত হওয়া এক ভারতীয় ক্যাথলিক মঠবাসিনী অভিযোগ করেছেন: ভ্যাটিকান কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ বিচার পাচ্ছেন না তিনি।
বিচার না পাওয়ায় এখন মঠবাসিনী লাকী আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।
কেরালা রাজ্যের ফ্রান্সিসান ক্লারিস্ট কংগ্রেসনে (এফসিসি) থাকেন সিস্টার লাকী কলাপ্পুরা।
বিশপ ফ্রাঙ্কোর বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৪ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত একজন মঠবাসিনীকে অনেকবার ধর্ষণ করেছেন। পরে তাকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তবে তিনি এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন।
বিশপ ফ্রাঙ্কো মুলাক্কালের ধর্ষণ কাণ্ডের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালে প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেন লাকী। গত আগস্টে বরখাস্ত করা হয় লাকিকে।
লাকীকে বরখাস্তের কারণ হিসেবে এফসিসি জানায়, ‘লাকীর জীবন-যাপন চার্চের আইনের পরীপন্থী’-এই অভিযোগের ভিত্তিতে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তবে লাকী জানিয়েছেন, বিশপের ধর্ষণ কাণ্ডের প্রতিবাদে সমাবেশে অংশগ্রহণ করার কারণেই তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চার্চ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করেও তিনি যথাযথ সারা পাননি। কর্তৃপক্ষ তার অভিযোগ আমলেও নেননি। আমি চার্চ ত্যাগ করবো না। আমি চার্চের নিয়ম মেনেই জীবনযাপন করছি।
এখন তিনি আদলতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। শুধু লাকী নন, চার্চের অন্য নারী বাসিন্দা যারা ওই ধর্ষণের প্রতিবাদে সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন, তারাও নানা ধরণের হয়রানির শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ভারতে নিযুক্ত ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূতের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। এমনকি ভ্যাটিকানেও অভিযোগ জানানো হয়েছে চিঠি দিয়ে। তবে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন জবাব দেয়নি কর্তৃপক্ষ।