প্রায় পুরো আফগানিস্তান দখলের পর রাজধানী কাবুল দখল নিতে সেখানে ঢুকতে শুরু করেছে তালেবানরা। এর আগে কাবুল ছাড়া সবগুলো মূল শহর নিজেদের দখলে নেয় তারা।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেনারেল আব্দুল সাত্তার মিরজাকাওয়াল জানিয়েছেন, চারদিক থেকে কাবুলে প্রবেশ করছে তালেবানরা।
তবে আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্টের অফিস এক টুইটবার্তায় বলেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। শহরকে সুরক্ষিত করতে আন্তর্জাতিক সঙ্গীদের সঙ্গে দেশটির নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সেনারা কাজ করছে।
কাবুলে নিয়োজিত আফগানিস্তানের মন্ত্রী ফারজানা কোচাই বলেন, জনগণ নানান দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা কোথাও যেতে পারবে না। কারণ পালানোর কোনো জায়গা নেই।
তিনি আরও বলেন, যারা ভারত বা অন্যান্য প্রতিবেশী দেশে পালিয়ে যেতে চাইছে তারা ফ্লাইট পাবে না। সেসবও পরিপূর্ণ থাকবে। নারীরা আবারও তাদের বাড়িতেই বন্দীদশায় ভুগবে। তারা না কাজে যেতে পারবে, আর না পারবে স্কুলে যেতে।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মীদের কাবুলের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য তাদের দূতাবাস কর্মীদের সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে।
এর আগে কোনো রকম সংঘর্ষ ছাড়াই আফগানিস্তানের পশ্চিমের গুরুত্বপূর্ণ শহর জালালাবাদের নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তার একদিন আগে অবরুদ্ধ মাজার-ই-শরিফের নিয়ন্ত্রণও নেয় তারা।
শনিবার বিক্ষিপ্ত কিছু সংঘর্ষ ঘটলেও বড় ধরনের কোনো প্রতিরোধ ছাড়াই উত্তরাঞ্চলের বৃহত্তম এ শহরটির পতন হয়।
২০ বছর পর আফগানিস্তান থেকে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিদেশি সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণার সাথে সাথেই সেখানে অস্থিরতা তৈরি হয়। এই যুদ্ধে সবার আশঙ্কা, ২০০১ সালে তালেবান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে আফগানিস্তানে যেসব মানবাধিকার অর্জন করা গিয়েছিল তা আবার হারিয়ে যাবে।
১৯৯০ সালে তালেবান নিয়ন্ত্রণাধীন জীবনে নারীদের পুরোপুরি বোরকা পরতে বাধ্য করা হতো, ১০ বছরের বেশি বয়সী মেয়েদের জন্য শিক্ষা নিষিদ্ধ ছিলো এবং প্রকাশ্যে ফাঁসিসহ নৃশংস শাস্তির ব্যবস্থা ছিল।