চামড়া ব্যবসায়ীদের খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের আরও ৩ মাস সময় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মাত্র ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে নিয়মিত গ্রাহক হওয়ার জন্য চলতি বছরের ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন চামড়া ব্যবসায়ীরা।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
এতে বলা হয়, ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিল সুবিধা নেয়ার জন্য অর্থায়নকারী ব্যাংকের নিকট ঋণ গ্রহীতারা তাদের ঋণ পুনঃতফসিলের জন্য আবেদন করতে পারবেন ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত। এছাড়া পূর্বে জারিকৃত এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত অন্যান্য নির্দেশনাবলী অপরিবর্তিত থাকবে।
এ বিষয়ে ব্যাংকাররা জানান, সাধারণ নিয়ম অনুযায়ী আগের বছরের পুরো টাকা পরিশোধ না করে নতুন ঋণের আবেদন করতে পারেন না চামড়া ব্যবসায়ীরা। যদি কোনো গ্রাহক বছর শেষে মোট ঋণের অর্ধেক পরিশোধ করেন, তাহলে পরের বছর পরিশোধিত অঙ্কের সমান ঋণ নিতে পারেন। এবছর করোনাভাইরাসের কারণে ২ শতাংশ ডাউন পেমেন্টের মাধ্যমে ঋণ পুনঃতফসিল সুযোগ দেয়া হয়েছে। তবে এসব গ্রাহককে কি পরিমাণ ঋণ দেয়া হবে তা পুরোপুরি নির্ভর করছে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের উপর।
চামড়া ব্যবসায়ীদের ঋণ পুনঃতফসিলের বিষয়ে গত ৫ জুলাই জারিকৃত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, মাত্র ২ শতাংশ এককালীন জমা দিয়ে চামড়ার ঋণ পুনঃতফসিল করা যাবে। এ সুবিধা পেতে হলে ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে। ব্যাংকগুলো নিজেরাই এ ঋণ পুনঃতফশিল করতে পারবে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন লাগবে না।
এতে আরও বলা হয়, ঋণগ্রহীতাদের আওতার বাইরে কোনো কারণে ঋণ শ্রেণিকৃত হয়ে থাকলে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সচল থাকলে তা পুনঃতফসিল সুবিধা দেয়া যাবে। কেস-টু-কেস ভিত্তিতে এক বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ তলবি ও চলমান ঋণ সর্বোচ্চ ৬ বছর মেয়াদ এবং মেয়াদি ঋণ সর্বোচ্চ ৮ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে।
এছাড়া কোরবানির পশুর কাঁচা চামড়া কেনার জন্য নতুন ঋণ বিতরণের ক্ষেত্রে কম্প্রোমাইজড অ্যামাউন্ট গ্রহণের শর্ত শিথিল করা যাবে। খেলাপি ঋণ পুনঃতফসিলের পর নতুন ঋণ নেয়ার আগে সাধারণত ঋণ স্থিতির ১৫ শতাংশ জমা দিতে হয়। একে কম্প্রোমাইজ অ্যামাউন্ট বলা হয়।