সেমি-ফাইনালের প্রতিপক্ষ হিসাবে জুভেন্টাসকে পাওয়ার পর যেন হাফ ছেড়ে বেঁচে ছিল রিয়াল মাদ্রিদ। কেননা বার্সেলোনা ও বায়ার্ন মিউনিখের থেকে জুভদের শ্রেয় প্রতিপক্ষই মেনেছিলো রিয়াল।
তবে সকল গঞ্জনা নিরবেই সয়ে গিয়েছিলো জুভেন্টাস। আর জবাবটাও দিলো ফুটবলের ভাষায়। তুরিনে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম লেগে ২-১ গোলের জয়ের পর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ২-২ গোলের ড্র। ৪-৩ গোলে এগিয়ে থেকে বার্লিন ফাইনালে তারা।
এই পরাজয়েই কোন শিরোপা ছাড়া মৌসুম শেষ করায় হুমকির মুখে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের আগের আসরের শিরোপাধারীরা। এই ব্যর্থতার দায় নিতে হতে পারে আগের মৌসুমেই রিয়ালকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা এনে দেয়া কার্লো আনচেলত্তির। স্প্যানিশ মিডিয়ার আভাস তেমনই। তবে সব সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন রিয়ালের জার্মান মিডফিল্ডার টনি ক্রুজ।
ম্যাচ শেষে প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, আমি মনে করি না হারের দায় আনচেলত্তির উপর পড়বে। কেননা তিনি একজন গ্রেট কোচ। তা ছাড়াও রিয়ালের হয়ে তার অর্জন কম নয়।
তবে আনচেলত্তি এখনই ভাবতে চান না তেমন কিছুই, শেষের ১৫ টি দিন বাদে পুরোটা মৌসুম আমরা ভালোই খেলেছি। তবে ভবিষ্যৎ সম্পর্কে এখনই কথা বলতে চাই না। আমি খুব তাড়াতাড়ি ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বসবো।
তবে হতাশার দিনেও ব্যক্তিগত অর্জনের মাইলফলকে উজ্জ্বল ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২৩ মিনিটে রোনালদোর পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যাওয়া গোলে মেসিকে টপকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সর্বোচ্চ গোলের মালিক আবারও সিআর সেভেন। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তার গোল এখন ৭৮। সতীর্থের প্রশংসাও পাচ্ছেন তিনি। মার্সেলো বলেন, রোনালদো আসলে মাঠে যেটা করেন সেটা আসলে কোনো মানুষের পক্ষে সম্ভব নয়। সে মাঠে যা করে তা যেন মেশিনের মত।