সদ্য চাকরি হারানো চেলসির কোচ হোসে মরিনহোর নতুন ঠিকানা কোথায় হবে? ফুটবল দুনিয়ায় এখন সবাই এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মরিনহোর মতো মানুষকে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ মিস করবে, আমরা চাই না খুব বেশি দিনের জন্য সে এখানে থেকে যাক, তাকে আমরা ফিরে পেতে চাই, তার মতো ভিন্ন চরিত্র কিছুটা হলেও ছন্দে রাখে লিগ ফুটবলকে।
ব্রিটিশ দৈনিকটি আরো দাবি করেছে, মরিনহো খুব সম্ভবত রেড ডেভিলদের শিবিরে যাবেন। তবে অন্যান্য পত্রিকাগুলো বলছে মরিনহোর উচিত নিজের দেশে ফিরে যাওয়া।
গত অক্টোবরে যখন চেলসিতে মরিনহো ছাঁটাইয়ে প্রথম প্রক্রিয়া চলছিল, তখন নিজেকে স্পেশাল ওয়ান দাবি করা মরিনহো নিজেই জানিয়েছিলেন, তার নিজের দেশকে নেতৃত্ব দিতে তিনি গর্ববোধ করবেন। তবে সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে পর্তুগালের প্রিমিয়ার লিগের দল স্পোটিং কিংবা বেনফিকা কিংবা ২০০৪ সালে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জেতানো এফসি পোর্তোতে ফিরে যেতে পারেন মরিনহো।
এদিকে স্পেনের একাধিক সংবাদ মাধ্যমে গুঞ্জন দিয়েছিল স্পেনে ফিরে আসছে মরিনহো। সন্দেহের তীর যায় মরিনহোর পুরানো ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের দিকে। কারণ দলে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন কোচ রাফায়েলি বেনিতেজ।
তবে সব গুঞ্জন উড়িয়ে দিয়ে রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, বেনিতেজ থাকছেন, আর মরিনহোর উচিত হবে না রিয়াল মাদ্রিদের দিকে তাকিয়ে থাকা বা আলোচনা করা।
এদিকে গুজব রয়েছে চেলসি থেকে মরিনহোর চাকরি যাওয়ার মূল কারণ ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের সঙ্গে বাগ বিতণ্ডা। মরিনহো নিজেও স্বীকার করেছেন দলের প্রধান তিন খেলোয়াড়ের সঙ্গে নাকি তার মনোমালিন্য ছিল। মরিনহোর মতে ওই তিনজনের জন্য দলের এতো সমস্যা। তাদের জন্যই হারছিল। আমার কোন নির্দেশনা তারা শুনতো না।
অপর দিকে চাকরি হারানো মরিনহো এখনো নিজেকে স্পেশালই মনে করছেন। তিনি গোলডটকমকে বলেছেন, ‘চেলসি থেকে চাকরি হারিয়েছি এটা হতেই পারে। তবে বড়দিনের আগে আমি কোটিপতি হতে চলেছি। বেশ কিছুদিন বিশ্রামে থাকব আর মাস দুয়েক পর নতুন কোন ক্লাবে যোগ দিব।’
উল্লেখ্য ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে শেষ ১৬ টি ম্যাচে ন’টিতেই হারে চেলসি। এরপর লিচেস্টার সিটির সঙ্গে পরাজয়ের পরে তার ক্লাবে না থাকা প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়।
গত বৃহস্পতিবার ক্লাবের উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পরে ক্লাবের স্বার্থেই মরিনহোকে চাকরিচ্যুত করেন চেলসির মালিক রোমান আব্রামোভিচ।