চাঁপাইনবাবগঞ্জে বড় বিনিয়োগে গড়ে উঠেছে আধুনিক মাছের খামার। চাঁপাইনবাবগঞ্জের বুলনপুরে ২০ হেক্টর জায়গা নিয়ে বিশাল এ মাছের খামার যাত্রা শুরু করেছে দু বছর আগে। পরিকল্পিত নবাব মৎস খামারের ৩৬ টি পুকুরের পাড়ে রোপন করা হয়েছে দেশি বিদেশি বিভিন্ন ফলের গাছ।
পুকুরের পাড়ে চার‘শ মাল্টা গাছ, পাঁচ‘শ ভিয়েতনামি ডাব গাছ, ছয়‘শ মত ড্রাগন, দেশি বিদেশি জাতের পেঁপেসহ রয়েছে কলার চাষ। খামারের প্রতিটি পুকুরে পানিতে মাছের চাহিদা অনুযায়ি অক্সিজেন পৌঁছে দিতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যারেটার। মাছের খাদ্য দেয়া হয় স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে।
এবিষয়ে খামারের উদ্যেক্তা আকবার হোসেন বলেন, আমি গত রোযার ঈদে প্রায় দু লাখ টাকার মত কলা বিক্রয় করি। এই কলার জাত আমি রাজশাহীর পুঠিয়া থেকে সংগ্রহ করেছি। পুকুরে মাছের ঘনত্ব র্নিধারণসহ সকল ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে অত্যাধুনিক পদ্ধতি। পুকুরে প্রতি শতাংশে ৩০০ পিস পাঙ্গাস হিসাবে মাছের চাষ করছেন।’
মৎস্য শিল্প নিয়ে অনেক স্বপ্নের কথা জানান তিনি। গড়ে তুলতে চান মাছের হ্যাচারি। ভবিষতে ভিয়েতনাম, মিয়ানমারের পাশাপাশি বাংলাদেশে যেন মাছ রপ্তানিতে নিজেদের জায়গা করে নিতে পারে এই স্বপ্ন দেখেন তিনি।
মাছ উৎপাদনে এই এক বিশাল শিল্পায়ন। ক্ষুদ্র খামার কিংবা পুকুরের মাছ চাষের আওতায় আনার প্রচারণার সাফল্য এসে পৌঁছেছে এখানে। শুধু পুকুর আর পুকুর। পরিকল্পিত এবং সুনির্দিষ্টভাবে মাছ উৎপাদনের কলাকৌশল জেনে মাছ উৎপাদন করা মানে মাছে আমাদের দেশকে আরো স্বয়ংসম্পূর্ণ করা। আশা করা যায় খুব অল্প দিনেই এদেশ মাছ রপ্তানি বাণিজ্যে অংশ নেবে।
বিস্তারিত দেখুন ভিডিও রিপোর্টে: