ই-মেইল ছাড়া আমরা আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা কল্পনাও করতে পারি না। ব্যক্তিগত থেকে আনুষ্ঠানিক, সামাজিক মাধ্যম থেকে প্রাতিষ্ঠানিক–সব ক্ষেত্রেই ই-মেইল প্রযুক্তির প্রয়োজন।
সেই আধুনিক ই-মেইলের উদ্ভাবক রে টমলিনসন চলে গেছেন সবাইকে ছেড়ে। যে প্রতিষ্ঠানে (রেথিয়ন কো.) তিনি কাজ করতেন, তার মুখপাত্র মাইক ডবল ব্যাপারটি নিশ্চিত করেন। তবে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে এখনো স্পষ্টভাবে কিছু জানা যায়নি বলে জানান তিনি।
চুয়াত্তর বছর বয়সে মারা গেলেন এই মার্কিন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার।
আগে খুবই সংক্ষিপ্ত পরিসরে ছোট ছোট নেটওয়ার্কের মধ্যে ইলেকট্রনিক বার্তা পাঠানো যেতো। তবে তা একসঙ্গে নেটওয়ার্কে যুক্ত সবার কাছেই চলে যেতো।
১৯৭১ সালে টমলিনসনই প্রথম ই-মেইলের মাধ্যমে দুই ব্যক্তির মধ্যে ইলেক্ট্রনিক বার্তা আদান প্রদানের বিষয়টি শুরু করেন। এখন এই ই-মেইল ছাড়া আধুনিক বিশ্বের যোগাযোগ প্রায় অসম্ভব।
বর্তমানে সব ধরনের ই-মেইলে যে ‘@’ প্রতীকের ব্যবহার করা হয় তারও প্রচলন শুরু হয় তার মাধ্যমে।
বোস্টনে একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত অবস্থায় তিনি প্রথম আধুনিক ই-মেইল বার্তাটি পাঠান। পরে তিনি বলেছিলেন, প্রথম ই-মেইলে কি লিখেছিলেন, সেটি তার আর মনে নেই।