দেশের সড়ক, মহাসড়কগুলো বহু আগে থেকেই যেন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে। ঢাকায় সম্প্রতি গাড়িচাপায় শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও আন্দোলন চলছে। এরমধ্যেও দেশে সড়কে মৃত্যুর ঘটনা থেমে নেই। ছুটির দিনেও দেশের একাধিক জেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষার্থীসহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
চ্যানেল আই অনলাইনের প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘টাঙ্গাইলের কালিহাতীতে ট্রাকের ধাক্কায় এক অটোরিক্সার যাত্রী ৭ম শ্রেণীর স্কুলছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দু’জন। নিহত ওই ছাত্রী গোপালদিঘী কে.পি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণীর শিক্ষার্থী হাফিজা আক্তার। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাইকড়া ইউনিয়নের গোপালদিঘী কে.পি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, দুপুরের দিকে উপজেলার বল্লা থেকে ছেড়ে আসা একটি ইট বোঝাই ট্রাক এলেঙ্গা রোডের গোপালদিঘী কে.পি ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে পৌছালে ভালিয়াটা থেকে ছেড়ে আসা একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সাকে ধাক্কা দেয়। এসময় ওই অটোরিক্সায় থাকা হাফিজা আক্তার ঘটনাস্থলে নিহত হয়।’
অন্যদিকে ‘চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এলাকায় বাস-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের ৩ জন আরোহী নিহত হয়েছেন। এ দুর্ঘটনায় চালককে আটক করেছে পুলিশ। নিহতরা হলেন: সুজন (৩০), মনির (৩৫) ও সোহাগ (৩৫)। তারা সবাই কুমিল্লা চান্দিনার বেলাশর এলাকার বাসিন্দা। তারা চাঁদপুর শহরর বড়স্টেশন মোলহেড এলাকায় ঘুরতে আসছিলেন।’
টাঙ্গাইল ও চাঁদুপরের দু’টি দুর্ঘটনায়ই ট্রাক ও বাস ছোট যানবাহনগুলোকে চাপা দিয়েছে। চালকদের অস্থিরতা ও অদক্ষতা এর কারণ হতে পারে। আবার সড়ক-মহাসড়কে চলাচলের অনুপযোগী যানবাহনও দিন দিন বেড়েই চলেছে। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, বলতে গেলে এসব যানবাহনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই। জীবন দিয়ে এর কুফল ভোগ করছেন সাধারণ মানুষ।
এ দু’টো দুর্ঘটনার খবর গণমাধ্যমে এসেছে মাত্র, প্রকৃত দুর্ঘটনার চিত্র আরও ভয়াবহ। কারণ, সব দুর্ঘটনার খবর সংবাদমাধ্যমে আসে না। সড়ক পরিবহন আইন বাস্তবায়ন করতে পারলে দুর্ঘটনা অনেকাংশেই কমে যাবে বলে আমরা মনে করি। মালিক, চালক ও যাত্রীদের আরও সচেতনতা বাড়াতে যথাযথ কর্মসূচি হাতে নেয়ার বিকল্প নেই। প্রয়োজনে কঠোর হতে হবে। এজন্য যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আমরা আহ্বান জানাচ্ছি।