ঢাকা থেকে নিজের বাড়ি ফেরার পথে কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে চলন্ত বাসে শাহিনূর আক্তার তানিয়াকে গণধর্ষণের প্রাথমিক আলামত পেয়েছেন চিকিৎসকরা।
সোমবার রাতে রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালের এ নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ উঠে স্বর্ণলতা পরিবহণের চালক ও সহকারীর বিরুদ্ধে। এরই মধ্যে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে তাদেরকে আটক করেছে পুলিশ। তারা হলেন চালক নুরুজ্জামান (৩৯) ও সহকারী লালন মিয়া (৩৩)।
এ ঘটনায় গাড়ির চালক ও তার সহকারীসহ চারজনকে আসামি করে বাজিতপুর থানায় মামলা করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, হত্যার আগে তানিয়াকে গণধর্ষণ করা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এর আলামত পাওয়া গেছে।
কটিয়াদী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, বাসে একা পেয়ে তানিয়া গজারিয়া এলাকায় গাড়ীর চালক ও সহকারী তাকে ধর্ষণের পর করে রাস্তায় ফেলে দেয়। সেখান থেকে এলাকাবাসী তাকে কটিয়াদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
তানিয়ার বড় ভাই বাদল মিয়ার অভিযোগ, ধর্ষণের পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাস রোধ করে তার বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
শাহিনুর আক্তার তানিয়া কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি রাজধানীর ইবনে সিনা হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
সোমবার রাতে ঢাকা থেকে স্বর্ণলতা পরিবহনের ওই বাসে করে গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। পথে কটিয়াদীতে বাসটি পৌঁছানোর পর তানিয়া ও অন্য দুই যাত্রী ছাড়া সবাই নেমে যায়। পরে উজানচর এলাকায় ওই দুই যাত্রীও নেমে যায়। শেষ পর্যন্ত বাসে তানিয়া একাই ছিলেন।