চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

‘চলচ্চিত্রে বিভাজন ভালো নয়, দয়া করে বিভাজন বন্ধ করুন’

‘‘পরিচালককে বলা হয় চলচ্চিত্রের ‘ক্যাপ্টেন অব দ্য শিপ’। এটা সত্যি, কিন্তু সেই জাহাজটির মালিক কিন্তু একজন প্রযোজক। গত সাত বছর প্রযোজক সমিতির নির্বাচন বন্ধ ছিলো। নিজেদের মধ্যে কাঁদা ছোড়াছুড়ি ছিলো। চলচ্চিত্রের দূরাবস্থার জন্য কিন্তু আমরা প্রযোজকরা ই দায়ী। চলুন, আসন্ন নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আবার নতুন নেতৃত্বকে সামনে নিয়ে কোনো বিভাজন না করে চলচ্চিত্রকে এগিয়ে নিয়ে যাই।’’

‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতি নির্বাচন ২০১৯’-এর পরিচিতি সভায় বাংলা চলচ্চিত্র নিয়ে সময়োপযোগী ও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কথাগুলো বলছিলেন অভিনেতা, নির্মাতা ও প্রযোজক আলমগীর।

সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত প্রযোজক সমিতি নির্বাচন পূর্ব প্রার্থী পরিচিতি সভায় প্রযোজকদের উদ্দেশ্যে আহ্বান জানিয়ে চিত্রনায়ক আলমগীর আরো বলেন, চলচ্চিত্রে বিভাজন ভালো নয়, দয়া করে এগুলো বন্ধ করে চলচ্চিত্রে মনোনিবেশ করুন। চলুন, আমরা একটা সমাধানের দিকে যাই। একসাথে কাজ করলে একটু মনমালিন্য হতেই পারে, কিন্তু সেটাকে দিনের পর দিন ধরে রাখা ঠিক নয়। চলচ্চিত্রের সবাই আমরা একই পরিবারের সদস্য, চলুন না সব ভুলে গিয়ে আমরা একসঙ্গে পথ চলি!

নিজের বক্তব্যের এক ফাঁকে প্রযোজক ও অভিনেতা শাকিব খানেরও প্রশংসা করেন আলমগীর। বলেন, শাকিব খান একাই এখন ইন্ডাস্ট্রিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উচিত সবার একসঙ্গে পথ চলা। তিনি বলেন, চলচ্চিত্রে সোনালী অতীত ফিরিয়ে আনতে প্রযোজকদের ভূমিকার কোনো বিকল্প নেই।

প্রযোজকদের এই অনুষ্ঠানে একইমঞ্চে এসময় দেখা যায় ঢাকাই ছবির শীর্ষ নায়ক শাকিব খান, রুবেল, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান গুলজার, মধুমিতা হলের মালিক ইফতেখার নওশাদসহ আরও অনেককে।

আলমগীরের আগে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শাকিব খানও প্রযোজকদের উদ্দেশ্যে বিভেদ ভুলে একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বিভেদ ধ্বংস ই করতে পারে, মঙ্গল বয়ে আনতে পারে না।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, আমরা সবাই একই পরিবারের লোক, তারপরেও নিজেদের মধ্যে এতো বিভাজন কেন?

সবাই মিলে কাজ করে পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটা সোনালী যুগের সৃষ্টি করে যাওয়ারও আহ্বান জানান শাকিব।

প্রসঙ্গত, আসছে ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে প্রযোজক সমিতির নির্বাচন। দুই ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এই নির্বাচন। প্রথম ধাপের ভোটে ১৯ পদের জন্য ৪১ জন লড়বেন। দ্বিতীয় ধাপে নির্বাচিত ১৯ জনের ভোটে নির্বাচিত হবে সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদের প্রার্থী। প্রযোজক সমিতির সদস্য ১৯০।