কিংবদন্তি আর্জেন্টাইন ফুটবলার ডিয়েগো ম্যারাডোনার অদেখা ফুটেজ নিয়ে তৈরি হয়েছে ডকুমেন্টারি ‘ডিয়েগো ম্যারাডোনা’। যা ১১ অক্টোবর শুক্রবার ভারতে মুক্তি পেয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নির্মাতা আসিফ কাপাডিয়া।
মুক্তির পর থেকেই ম্যারাডোনাকে নিয়ে নির্মিত এই ডকুমেন্টারিটি ভক্ত ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
১৩০ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিতে নেপলসে ম্যারাডোনার জীবনকে বিশেষ ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। কীভাবে ইতালিয়ান ক্লাব নেপোলিতে থাকাকালীন সময়ে ম্যারাডোনার নানা ফুটেজ পাওয়া গিয়েছে তা নিয়ে জানা গেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। ম্যারাডোনার নিজের সংগ্রহেই সেই সময়ের ফুটেজগুলো ছিল। আসিফ কাপাডিয়া তার তথ্যচিত্রে সেই সব ফুটেজ ব্যবহার করেছেন।
ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিভিউতে পাঁচে চার পেয়েছে ডকুমেন্টারিটি। সেখানে বলা হয়েছে, ম্যারাডোনার অদেখা অনেক বিষয় দেখা যাবে ডকুমেন্টারিতে। দর্শক বুঝবে কী হারিয়েছে ফুটবলপ্রেমীরা।
আসিফ কাপাডিয়ার অন্য ডকুমেন্টারিগুলোর মতই দুর্দান্ত এডিটিং, ড্রামাটিক ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক, দীর্ঘ নীরবতার পরে হঠাৎ শুরু হওয়া চরিত্রগুলোর কথোপকথন দেখা গেছে। নির্মাণ শৈলীর কারণে দর্শকরা ডকুমেন্টারিটির গভীরে চলে যেতে পারবেন সহজেই।
ম্যারাডোনার ফুটবলের জাদু উপভোগ করা করা যায় ডকুমেন্টারিতে। বস্তির একজন সাধারণ ছেলে ডিয়েগো থেকে ফুটবলের রাজা ম্যারাডোনা হয়ে উঠার বিষয়টি ছবিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
নেপলসে ঘটে যাওয়া অন্তর্দন্দ্ব এবং বিতর্কগুলোও বাদ যায়নি ডকুমেন্টারি থেকে। ম্যারাডানোকে দেখা গেছে কোকেন গ্রহণ করতে এবং মাফিয়াদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে। নেপোলিতে থাকাকালীন সময়েই ১৯৮৬ সালে আর্জেন্টিনাকে বিশ্বকাপ জেতান এই ফুটবলার। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হওয়া ম্যাচে বিতর্কিত সেই ‘হাত দিয়ে গোল’ এর ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে।
১৯৮৪ থেকে ১৯৯১—এ সাতটি বছর নেপোলির জন্য ছিল রূপকথার মতো। ম্যারাডোনা জিতিয়েছেন দুটি লিগ শিরোপা, সঙ্গে কোপা ইতালিয়া, সুপার কোপা ইতালিয়া ও উয়েফা কাপ। দুই ঘণ্টা দশ মিনিটের এই ডকুমেন্টারিটি দর্শকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাবে ম্যারাডোনার সেই ফেলে আসা সাতটি বছরে।