ব্যাটসম্যানদের ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে উজ্জ্বল হতে পারত জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের তৃতীয় দিনটি। দেখা যেতে পারত সেঞ্চুরির মিছিল! কিন্তু আশা জাগিয়েও পারেননি একাধিকজন। ফিফটি পেরিয়ে আউট হয়েছেন ডজনখানেক ব্যাটসম্যান। প্রথম রাউন্ডে এখন পর্যন্ত কেউই ছুঁতে পারেননি তিনঅঙ্কের ম্যাজিক ফিগার।
খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে স্বাগতিকদের দুই ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি ৭৬ ও অভিষিক্ত ইমরান উজ জামান ৭১ রানে আউট হন। জুটিতে আসে ১৩৬ রান।
রংপুরের ২২৭ রানের জবাবে খুলনা ৩ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান তোলার পর তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়। ইমরুল কায়েস ২৯ ও সৌম্য সরকার ৮ রানে থাকেন অপরাজিত।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে চট্টগ্রাম বিভাগের বিপক্ষে ঢাকা মেট্রোর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আউট হয়েছেন ৬৩ রানে। শামসুর রহমান শুভ করেন ৫৫।
তবে সেঞ্চুরির আশা বাঁচিয়ে রেখেছেন একই দলের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান জাবিদ হোসেন (৮১*) ও পেস বোলার শহিদুল ইসলাম (৮২*)। অষ্টম উইকেট জুটিতে অবিচ্ছিন্ন থেকে তারা যোগ করেছেন ১৪৮ রান।
দুই টেলএন্ডারের লড়াইয়ে চট্টগ্রামের করা ২৯০ রানের জবাবে ঢাকা মেট্রো ৭ উইকেটে তুলেছে ৩৪৯ রান।
প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত চট্টগ্রামের তরুণ লেগস্পিনার মিনহাজুল আবেদীন আফ্রিদি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
রাজশাহীর শহীদ কামারুজ্জামান স্টেডিয়ামে সিলেটের বিপক্ষে বরিশাল বিভাগের ওপেনার শাহরিয়ার নাফীস আউট হন ৬৩ করে। দলের অধিনায়ক ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৭০ রানে ফেরেন সাজঘরে।
দুই ফিফটিতে ৮ উইকেটে ২৩১ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করেছে বরিশাল। প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৬ রানে গুটিয়ে যাওয়া সিলেট তৃতীয় দিন শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে তুলেছে ২ উইকেটে ২৭ রান।
ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে রাজশাহীর বিপক্ষে ঢাকা বিভাগের ব্যাটসম্যান রকিবুল হাসান আউট হন ৬৫ করে। তাইবুর রহমান অপরাজিত আছেন ৬৭ রানে।
দুই ফিফটিতে ঢাকা দ্বিতীয় ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে তুলেছে ২০৬ রান। তাইজুল ইসলাম তিনটি ও ফরহাদ রেজা নেন দুটি উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ঢাকা করেছিল ২৪০। জবাবে ১৯৭ রানে গুটিয়ে যায় গত আসরের চ্যাম্পিয়ন রাজশাহী।
জাতীয় লিগের প্রথম রাউন্ডের তৃতীয় দিন শেষে ফিফটি হয়েছে ১৮টি। ঢাকা মেট্রোর বাঁহাতি স্পিনার আরাফাত সানির পর ৬ উইকেট শিকারের কীর্তি গড়েছেন বরিশালের পেসার কামরুল ইসলাম রাব্বি। বোলাররা ছুঁয়েছেন মাইলফলক। ব্যাটসম্যানরা পারেননি। তবে শেষদিনে শের-ই-বাংলায় সেঞ্চুরির মাইলফলক স্পর্শের দারুণ সুযোগ আছে জাবিদ, শহিদুলের সামনে।
তিন দিনে ১৮ ফিফটি
রনি তালুকদার ৬৩ (ঢাকা), তাইবুর রহমান ৮৮* (ঢাকা), জহুরুল ইসলাম ৬৪ (রাজশাহী), মুশফিকুর রহিম ৭৫ (রাজশাহী), রকিবুল হাসান ৬৫ (ঢাকা), তাইবুর রহমান ৬৭* (ঢাকা), সাদিকুর রহমান ৫১ (চট্টগ্রাম), তাসামুল হক ৯০ (চট্টগ্রাম), শামসুর রহমান ৫৫ (মেট্রো), মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ৬৩ (মেট্রো), জাবিদ হোসেন ৮১* (মেট্রো), শহিদুল ইসলাম ৮২* (মেট্রো), শাহরিয়ার নাফীস ৬৩ (বরিশাল), ফজলে মাহমুদ ৭০ (বরিশাল), তানবীর হায়দার ৬৪ (রংপুর), সোহরাওয়ার্দী শুভ ৫০ (রংপুর), রবিউল ইসলাম রবি ৭৬ (খুলনা), ইমরান উজ জামান ৭১ (খুলনা)।