চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

এ কেমন গণতন্ত্র অনুশীলন?

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হতাকাণ্ডের আলোচনার সময়ে ফেসবুক পোস্টের কারণে আরও এক ঘটনা ঘটেছে আওয়ামী লীগে। ফেসবুক পোস্টের কারণে আবরার ফাহাদের মত হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়নি, তবে খুলনায় দলের পদ হারিয়েছেন এক আওয়ামী লীগ নেতা।

আবরার ফাহাদ ফেসবুকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালীন চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে পোস্ট দেওয়ায় বুয়েট ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবর। আর ফেসবুকে সরকারের সমালোচনা করার কারণে পদ হারানো খুলনার ওই বহিষ্কৃত আওয়ামী লীগ শেখ বাহারুল আলম ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং জেলা বিএমএ’র সভাপতি।

গত ৬ অক্টোবর ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকে দেশের স্বার্থ বিঘ্নিত হয়েছে বলে শঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন। ওইসব চুক্তি ও স্মারকে একতরফাভাবে ভারতের স্বার্থ রক্ষা হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল ‘সাবেক’ ওই আওয়ামী লীগ নেতার।

বাহারুলের ভাষায়- “দুর্বল অবস্থানে থেকে বন্ধু-প্রতিম শক্তিধর প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সাথে বৈঠকে-ফলাফল শক্তিধরের পক্ষেই আসে। বাংলাদেশ-ভারত উভয়-পক্ষীয় সমঝোতা স্মারক নাম দেওয়া হলেও বাস্তবে একপক্ষীয় সিদ্ধান্তই মেনে নিতে হয় দুর্বল রাষ্ট্রকে। ভারত বাংলাদেশ থেকে তার সকল স্বার্থই আদায় করে নিয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে এখনো ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে পারেনি।” বাহারুলের শঙ্কা আরও প্রকাশ হয় এভাবে- “অমানবিক আচরণের শিকার হয়েও বাংলাদেশ পানি ও গ্যাস সরবরাহ দিয়ে মানবিকতার প্রদর্শন করেছে। বাংলাদেশের মানুষের স্বার্থ ও অধিকার উপেক্ষিত রেখে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষ হয়েছে। শক্তিধর প্রতিবেশির আধিপত্যের চাপ এতই তীব্র যে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব বজায় থাকবে কিনা আশঙ্কা হয়। কারণ ভারতের চাপিয়ে দেওয়া সকল সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে মেনে নিতে হচ্ছে”।

সদ্য সাবেক এই আওয়ামী লীগের যে শঙ্কা সেটা সাধারণীকরণ সন্দেহ নেই। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বজায় থাকবে কিনা এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। বাস্তবতা বিবেচনায় এর সঙ্গে সত্যিকারে অবস্থার মিল নেই। তিনি একতরফা ভাবে নিজেকে দুর্বল হিসেবে চিহ্নিত করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রকে প্রতিপক্ষ আখ্যা দিয়ে তাদের সবল ভেবে তার মতামত দিয়েছেন। এটা তার জনপ্রিয় ধারার ফেসবুক এক্টিভিজম, যেখানে ফেসবুকীয় লাইক, কমেন্ট আর শেয়ারের আকুলতা ছিল বলেই মনে হয়। এরবাইরে আছে পঠন-পাঠন আর জানার সীমাবদ্ধতা। তিনি হয়ত পুরো বিষয়টি অধ্যয়ন করেননি, খোঁজখবর নেননি, বা এর প্রয়োজনীয়তাও উপলব্ধি করেননি।

জেলা পর্যায়ের একজন নেতৃত্বস্থানীয় দায়িত্বশীলের অবস্থা এমন হলে চলে না, কারণ তাদের কাছে জনসাধারণ সঠিক তথ্য প্রত্যাশা করে। তারা অনেকের কাছে অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব বলেই স্বীকৃত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দেওয়া তথ্যে জনমত প্রভাবিত হয়। এমন অবস্থানে থাকা কেউ যদি স্রেফ ভারতবিদ্বেষে বশবর্তী হয়ে ঘৃণা উগড়ে দেন তবে সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত।

বাহারুল আলম যে লেবেলে রাজনীতি করে থাকেন সেখান থেকেই মূলত প্রতিনিধি ও আইন প্রণেতারা বের হয়ে আসার প্রত্যাশা করেন সকলেই। তিনি কেবল জেলা পর্যায়ের একজন উল্লেখের মত রাজনীতিকই নন, একই সঙ্গে তিনি ডাক্তারদের সংগঠন বিএমএ’র জেলা শাখার সভাপতি। তার পেশাগত পরিচয় বলছে তিনি উচ্চ শিক্ষিতও। এমন যোগ্যতা সম্পন্ন একজন মানুষ এভাবে প্রতিবেশী একটা দেশের প্রতি এমন বিদ্বেষ পোষণ করে সেটা প্রচার করা অপ্রত্যাশিত।

একটা সময়ে দেশে ভারত বিরোধী রাজনীতির জয়জয়কার ছিল। এমনকি দেশের একশ্রেণীর মানুষ এখনও বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভারতের কথিত ‘ষড়যন্ত্র’ বলেও মনে করে। প্রো-পাকিস্তানি এই ধারার মানুষদের অনেকেই এখনও বাংলাদেশের চাইতে পাকিস্তানকে আশ্রয় ভাবে। এই পন্থি মানুষদের সংখ্যা নেহায়েত কম না। পাকিস্তান আমাদের জন্মশত্রু হলেও জন্মশত্রু একটা দেশের পক্ষ নেওয়া মানুষদের এই সংখ্যা আশঙ্কাজনক ভাবে বাড়ছে। এটা নীরবে হলেও সাম্প্রতিক সময়ে এর প্রকাশ হচ্ছে সরবেই, এবং এটা ভারত বিরোধিতাকে কেন্দ্র করেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন অনলাইন গণমাধ্যমের শেয়ারকৃত লিঙ্কে এর সরব প্রকাশ রয়েছে। ভারতবিদ্বেষ, বাংলাদেশ-পাকিস্তানের তুলনায় পাকিস্তানকে এগিয়ে রাখতে পছন্দ করা এইসব মানুষেরা দিন-দিন যেভাবে অনলাইনকে গ্রাস করছে তাতে করে আতঙ্কিত হওয়া ছাড়া উপায় থাকছে না। এমন অবস্থায় বাস্তবতা যাই হোক না কেন ভারতবিদ্বেষ পোষণ করে অনলাইনে কিছু লেখা বা শেয়ার করলে সেটা মুহূর্তেই ছড়িয়ে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে প্রভাবিত হয়ে জনপ্রিয়তার মোহে অনেকেই এই পথে পা বাড়াচ্ছে বলেও মনে হয়।

বাহারুল যা লিখেছেন সেটা সবল-দুর্বলের অনুমিত ধারণা থেকেই। তিনি যে প্রধানমন্ত্রীর সদ্য সমাপ্ত ভারত সফর নিয়ে দেশের বেশিরভাগ মানুষের মতই অন্ধকারে ছিলেন সেটা প্রমাণিত। ভারতের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক কেন সাক্ষরিত হলো, কী ছিল সে উদ্দেশ্য, ওখানে বাংলাদেশের স্বার্থ কি সত্যিকার অর্থে লঙ্ঘিত হয়েছে- এনিয়ে তিনি কোন তথ্য পাননি, তথ্য সংগ্রহ করতে চাননি। এটা ছিল ব্যক্তি পর্যায়ে তার সাংগঠনিক দুর্বলতা কিংবা অদক্ষতা। এরবাইরে আছে সরকার বা দলের ভূমিকা, যেখানে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সরকার সবাইকে তাদের ভাষায় প্রকৃত তথ্য ব্যর্থ হয়েছে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সরকার ভালো করেই জানে একাত্তরে বাংলাদেশের মুক্তির সংগ্রামের চূড়ান্ত ধাপ মহান মুক্তিযুদ্ধে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিয়ে বন্ধুরাষ্ট্রের ভূমিকা পালনকারী ভারতের প্রতি এই দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই একটা অবিশ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে। দেশের মানুষ মনে প্রতিবেশী বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র হলেও ভারতের কাছ থেকে আমরা কেবলই ‘ঠকে আসছি’। তিস্তা ইস্যু থেকে শুরু করে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য হয়ে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুর কোনটিতেই আমরা ভারতের কাছ থেকে সহযোগিতা পাচ্ছিনা। এটা যে স্রেফ এমনি-এমনিই হচ্ছে তা না, এর কিছু বাস্তব প্রমাণও আছে। ফলে অবিশ্বাসের সম্পর্ক আরও বেশি অবিশ্বাসের জ্বালানি যোগাচ্ছে যখন তখন এইসব চুক্তি কিংবা খসড়া নিয়ে সরকার তাৎক্ষণিক ভাবে কোনো বক্তব্য দেয়নি। সরকার ও দায়িত্বশীলেরা এজন্যে অপেক্ষা করছিল প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরে একদিন সংবাদ সম্মেলন করে সব বলবেন। সরকার ও আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রীর এই সংবাদ সম্মেলন পর্যন্ত অপেক্ষা করার মত গোপনীয়তার কৌশল মূলত সন্দেহ ও অবিশ্বাসকে আরও বেশি পোক্ত করেছে। ফলে যা হওয়ার সেটাই হয়েছে কেবল সরকারবিরোধী অংশই নয়, ভারতবিদ্বেষি একটা বিশাল অংশের জনগণের মত খোদ আওয়ামী লীগ নেতারাও এই সন্দেহ ও অবিশ্বাসের দোলাচলে দুলেছে। বাহারুল আলমের এই ভূমিকা এর ব্যত্যয় নয়, বলা যায় আওয়ামী লীগ ও সরকারের গোপনীয়তা ভুল কৌশলের খেসারত।

শেখ বাহারুল আলমের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ হয়ত দেশের জাতীয় রাজনীতির নির্ণায়ক কিছু নয়, তবে এটা দল ও সরকারের জন্যে একটা আঘাতই। আওয়ামী লীগ নেতারাই যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত ভারত সফরের প্রাপ্তি নিয়ে সন্দিহান এটা ভবিষ্যতের উদাহরণ হিসেবে নির্ণীত হবে। আওয়ামী লীগ নেতারাই যেখানে ভারত সফরের প্রাপ্তি নিয়ে সন্তুষ্ট নয় সেখানে সাধারণ নাগরিকেরা কীভাবে হবে?

বাহারুল আলমের বহিস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে গণমাধ্যম সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, বহিস্কারের আগে তাকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। দল থেকে বহিস্কারের পর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তাকে বহিষ্কার করতে জেলা আওয়ামী লীগ এক জরুরি সভা আহ্বান করে যেখানে বলা হয়- ‘দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গ, সরকারপ্রধান, দলীয়প্রধান ও রাষ্ট্রবিরোধী বক্তব্য ফেসবুকে প্রদান করায়’ তাকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আপনি যদি গণতন্ত্র নিয়ে ন্যূনতম ধারণা রাখেন তবে নিশ্চয়ই একমত হবেন যে, দলটির স্থানীয় পর্যায়ের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি। উলটো একনায়কতান্ত্রিক উপায়ে দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীকে ‘একেশ্বর’ বলে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

বাহারুলের এই বহিষ্কারকে জেলা পর্যায়ের রাজনীতি ভেবে একে আলোচনার টেবিলে নিয়ে না আসাটা অন্যায় হবে। এটাকে নিয়ে আলোচনার দরকার আছে। বিশেষত দলের তৃণমূল পর্যায়ে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চর্চার দৈন্য প্রকাশিত। এছাড়া ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে সম্পাদিত চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে সরকার ও দলের নেতাদের মধ্যেও যে তথ্যের অভাব সেটাও প্রকাশিত।

গণতন্ত্র ও স্বাধিকারের ধারণা থেকে যে আওয়ামী লীগের জন্ম সেই আওয়ামী লীগের দলের মধ্যে গণতন্ত্রহীনতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার আরও এক বলি এই বাহারুল আলম। সরকারের বিরুদ্ধে যায় এমন কিছু কথা তাই দল সহ্য করতে পারেনি। এবং বহিষ্কারের আগে কোনোপ্রকার আত্মপক্ষ সমর্থনেরও সুযোগ রাখেনি। এটা আওয়ামী লীগের জন্যে খুবই খারাপ খবর, করুণ চিত্র। অথচ এই দলটির ইতিহাস কেবল গণতন্ত্রের জন্যেই হয়নি, বিভিন্ন সময়ে গণতন্ত্র রক্ষায় এই দলটি সবচেয়ে বেশি ত্যাগ স্বীকার করেছে।

ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তি ও সমঝোতা নিয়ে এই দেশের মানুষ বিভ্রান্ত ও তথ্যহীনতায়। এটা নিয়ে সরকার ও সরকারি দল আগেভাগে যেমন আলোচনা করেনি, তেমনি চুক্তি ও সমঝোতা সাক্ষরের অব্যবহিত পরেও কোনধরনের তথ্য দেয়নি। এই তথ্য না দেওয়া কেবল সাধারণ নাগরিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখেনি, খোদ দলের নেতারাও এনিয়ে ছিলেন অন্ধকারে। এলএনজি-পানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরকারের গোপনীয়তার ভুল নীতির কারণে সরকার ও সরকারি দল আওয়ামী লীগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, হচ্ছেও। এই ক্ষতির ভয়াবহ দিক হলো দল হিসেবে আওয়ামী লীগও নিজেরাও অন্ধকারে। ফলে যে দলের মাধ্যমে সরকারের বার্তাগুলো সাধারণ মানুষের কাছে যাওয়ার কথা সেটা হচ্ছে না।

দলকে এভাবে অন্ধকারে রেখে আওয়ামী লীগ সরকার কাদের দিয়ে নাগরিকদের মাঝে সরকারের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রচার-প্রচারণা চালাবে? ডিসি-ইউএনও-ওসি? ওরা ত প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী; গদিতে যে তারা তার! গত এক দশকে আওয়ামী লীগ সরকারের কাছে রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি যতটা মার খেয়েছে, তথ্যহীনতায় তারচেয়ে কি কম মার খেয়েছে আওয়ামী লীগ? সারাদেশের কোথায় ত্যাগী নেতাকর্মীরা মূল্যায়িত হচ্ছে? সরকারের নানামুখী উদ্যোগ-পদক্ষেপের কোন তথ্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পাচ্ছে আওয়ামী লীগ নেতারা? কোথাও না! পার্থক্যটা হলো বিএনপির কোণঠাসা অবস্থা দৃশ্যমান, কিন্তু আওয়ামী লীগের কোণঠাসা অবস্থাটা দেখা যাচ্ছে না; নীরবে হচ্ছে ক্ষরণ!

আগের এমন নানা ঘটনার উল্লেখ না করেও অদ্য আরও এক খবর এসেছে গণমাধ্যমে। চট্টগ্রামের সামশুল আলম চৌধুরী নামের সরকারদলীয় এক হুইপ ও তার পুত্রের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ায় স্থানীয় এক যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুবলীগের ওই নেতার বিরুদ্ধে আগে থেকেই একাধিক মামলা ছিল, সেগুলোর পরেও তিনি ছিলেন বাইরে কিন্তু হুইপ ও তার পুত্রের বিরুদ্ধাচারণ করার পর পরই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে- সংবাদ এমনই। এই সংবাদ ভয়াবহ; ফেসবুক দেখে দল ও সরকার চালানোর ইঙ্গিতও। এমন অবস্থা কি দল ও সরকারের জন্যে বিব্রতকর নয়? এসব বুঝবে কে? যাদের বুঝার কথা তারা ত একপক্ষকে প্রতিপক্ষ ভেবে বসে আছে!

(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)