চতুর্থ সন্তানটিও মেয়ে হয়েছে খবর পেয়ে ক্ষুব্ধ বাবা হাতের কাছে থাকা ১৮ মাস বয়সী তৃতীয় কন্যা সন্তানকে আছাড় দিয়ে মেরে ফেলেছে এক বাবা।
ভারতের জাবালপুরের দীন দয়াল নগরে এ ঘটনা ঘটে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, বিজয় নগরের টিআই ইউ এন সোনির কাছে শুক্রবার একদল পরিচ্ছন্নতা কর্মী ফোন করে জানান, তারা দীন দয়াল চক এলাকার নর্দমা থেকে একটি ছোট শিশুর মরদেহ পেয়েছেন।
মরদেহটি ভারী একটি পাথরের চাঁইয়ের আড়ালে আটকে ছিল। মরদেহটি আটকে থাকার কারণে নর্দমা জলাবদ্ধ হয়ে যাওয়ায় পাথর সরিয়ে তারা সেটি খুঁজে পান বলে জানান।
ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ। ময়নাতদন্তে জানা যায়, বাচ্চাটির খুলি এবং কপালে মারাত্মক আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে।
অজ্ঞাতপরিচয় শিশুটির পরিচয় জানতে পুলিশ এলাকার সেসব পরিবারের খোঁজ নিতে তাকে যেখানে ছোট মেয়ে আছে। খুঁজতে খুঁজতে রমেশ বর্মন ওরফে আজ্জুর বাসায় গিয়ে পুলিশ দেখতে পায়, সেখানে ৫ এবং ৩ বছর বয়সী দু’টি ছোট বোন ঘরের এককোণে বসে কাঁপছে।
পুলিশ কর্মকর্তারা তাদেরকে সান্ত্বনা দিয়ে বুঝিয়ে ধীরে ধীরে কথা বলাতে সফল হন। এক পর্যায়ে বড় মেয়েটি তাদেরকে জানায়, তাদের বাবা তাদের সামনেই তাদের ছোট বোনকে চুলের মুঠি ধরে মাথাটা মেঝেতে আছাড় মেরেছে।
‘বাবা তারপর ওকে নিয়ে বাইরে চলে গেল, আর ফিরল না।’
বড় মেয়েটির কাছ থেকে পুলিশ আরও জানতে পারে তাদের মা স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতালে গিয়ে পুলিশ আজ্জুকে তার স্ত্রী ও সদ্যজাত কন্যাশিশুর পাশে বসে থাকতে দেখে। সেখান থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও তদন্ত থেকে পুলিশের ধারণা, আরেকটি মেয়ে হয়েছে শুনে রাগের মাথায় সাথে সাথেই পাশে কাঁদতে থাকা ছোট মেয়েটিকে ধরে আছাড় মারে আজ্জু। তাৎক্ষণিকভাবেই মৃত্যু হয় বাচ্চাটির।
পুলিশ জানায়, দিনমজুর আজ্জু বিপুল পরিমাণ ঋণের তলায় ডুবে আছে। মাসতিনেক আগে দীন দয়াল নগরে সপরিবার এসে বসবাস শুরু করে সে। আজ্জু মদ্যপ বলেও পুলিশকে জানিয়েছে এলাকাবাসী।