দেশের প্রথম ছয় লেনের ফ্লাইওভার উদ্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন থেকে ফেনীবাসীর দীর্ঘ দিনের কষ্ট দুর হবে। যারা চট্টগ্রাম, নেয়াখালী বা ফেনীমুখী তাদের সবার জন্য এক কষ্টের জায়গা ছিল মহিপালের এ জায়গাটি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা জ্যামে আটকে থাকতো হতো এখানে
বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ফেনীর মহিপাল নির্মিত ওই ফ্লাইওভারে সেখানে ব্যবসা বাণিজ্যের পাশাপাশি বেকার সমস্যাও কমে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
দূর যাত্রার জন্য দেশের সব নতুন রাস্তায় আলাদা লেনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এতে করে মানুষকে কষ্ট করতে হবে না।
এসময় দেশের বিভিন্ন উন্নয়ন কাজের উল্লেখ করে তিনি বলেন: ‘বাড়ছে যানজট। বাড়ছে গাড়ি। যত বেশি আর্থিক উন্নতি হবে ততো বেশি গাড়ি বাড়বে। বাড়বে যানজট। সে লক্ষ্যেই আমরা যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি।’
এ ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজে সেনাবাহিনীসহ, সাধারণ জনতা ও অন্যান্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন: ‘প্রকল্পের জন্য যে সময় বেঁধে দিয়েছিলাম তার চেয়ে ছয় মাস আগে কাজ শেষ করেছে সেনাবাহিনী। এজন্য তাদেরকেসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন: ২০২১ সালের মধ্যে দেশকে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত করবো। স্বাধীনতার ৫০ বছর উদযাপন করবো। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে পরিণত হবে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা কাজ করছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ফেনী-নোয়াখালী মহাসড়কের সংযোগস্থল মহিপালে এ ফ্লাইওভার চালু হওয়ায় মহাসড়কে যানজট অনেকাংশে কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করেছে আব্দুল মোনেম লিমিটেড। এই ফ্লাইওভারের মূল দৈর্ঘ্য ৬৬০ মিটার। প্রস্থ ২৪ দশমিক ৬২ মিটার। আর সার্ভিস রোডের দৈর্ঘ্য এক হাজার ৩৭০ মিটার, সার্ভিস রোডের প্রস্থ ৭ দশমিক ৫ মিটার।
ফ্লাইওভারটির সংযোগ সড়কের দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৬০ মিটার। ফুটপাথের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ২১০ মিটার। এতে রয়েছে ১১টি স্প্যান এবং ১৩২টি পিসি গার্ডার।
মহিপাল ফ্লাইওভার ছয় লেনের হলেও সেতুর নিচের দুই পাশে আরো চারটি সার্ভিস লেন চালু থাকবে।
২০১৫ সালের ১ এপ্রিল এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। এতে মোট ব্যয় হয়েছে ১৮১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা। সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন বিভাগ ও মেসার্স আবদুল মোনেম লিমিটড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে।