চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ
Channelionline.nagad-15.03.24

চট্টগ্রামে ছাত্রদল নেতাকে পুলিশ পরিচয়ে তুলে নিয়ে হত্যার অভিযোগ

বাসা থেকে তুলে নেয়ার একদিন পর ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নেতার গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনাকে ‘পুলিশের হত্যাকাণ্ড’ হিসেবে দাবি করেছে নিহতের পরিবার। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের রাউজানের বাগোয়ান ইউনিয়নের নদীর পাড়ে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক নুরুল আলম নুরুর গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরিবার দাবি করেছে নুরুকে বাসা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে পুলিশ।

এর আগে গত বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে জেলা পুলিশের একটি টিম নুরুল আলম নুরুকে তুলে নিয়ে যায়। নিহতের পরিবার বলছে: রাউজান থানার নোয়াপাড়া ফাঁড়ির এস আই জাবেদের নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশের পোশাক ও কয়েকজন সিভিল পোশাক পড়ে নুরুল আলমকে নিয়ে যায়। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) তার লাশ পাওয়া গেছে বাগোয়ান ইউনিয়নের খেলার ঘাট এলাকায়। নদীর পাড়ে পড়ে ছিল লাশ।  মাথায় সরাসরি গুলি করেছে। মাথা একেবারে থেতলে গেছে। পুলিশ এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

নুরু উত্তর জেলা ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক। ছাত্রদলের বর্তমান কমিটিতে তিনি কেন্দ্রীয় সহ সাধারণ সম্পাদক পদে ছিলেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নুরু বিএনপির কেন্দ্রীয় আর্ন্তজাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও রাউজানের সাবেক সাংসদ গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত।

তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করছে পুলিশ।তারা বলছে এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, নুরুর বিরুদ্ধে মামলা থাকতে পারে। তাকে গ্রেফতার করা হোক।  প্রয়োজনে বিচারের মুখোমুখি করা হোক।  কিন্তু একজন স্বাধীন দেশের নাগরিককে পুলিশ রাতের আঁধারে তুলে নিয়ে মেরে ফেলবে, এটা কেমন দেশ। আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।