দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক নানা জটিলতায় আক্রান্ত দেশের খ্যাতিমান আলোকচিত্রী চঞ্চল মাহমুদের চিকিৎসায় পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে তার শুভানুধ্যায়ীরা।
চঞ্চল মাহমুদ লাইফ সাপোর্ট থেকে গতবার লড়াই করে ফিরতে পারলেও অর্থাভাবে এখন আর চিকিৎসা ব্যয় মেটাতে পারছেন না।
চঞ্চল মাহমুদের বন্ধু স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ হওয়া এইচ এম ইব্রাহিম সেলিমের মেয়ে নুসরাত ইব্রাহিম চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ‘বর্তমানে চঞ্চল স্যার খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছেন। তিনি আমাদের দেশের একজন সম্পদ, গুণী শিল্পী। খ্যাতিমান এই আলোকচিত্রীর পাশে সমাজের বিত্তবানদের দাঁড়ানো উচিত।’
নুসরাত ইব্রাহিম বলেন, ‘আমি নিজে ব্যক্তিগতভাবে সমাজের উচ্চ শ্রেণীর মানুষ, শিল্পপতিদের কাছে চঞ্চল স্যারের চিকিৎসার বিষয়ে আলোচনা করেছি। কিন্তু কারও কাছ থেকে ইতিবাচক আশ্বাস পাইনি, কেউ সহযোগিতা করেননি।’
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ফটোগ্রাফি করে কত স্টার, সুপারস্টার আর মেগাস্টার তৈরি করেছেন চঞ্চল মাহমুদ। কিন্তু রয়ে গেছেন অন্তরালে। চিকিৎসা খরচ বহন করতে করতে আজকে নিঃস্ব তিনি। হৃদরোগ, কিডনির পাশাপাশি আরও শারীরিক জটিলতা আছে উনার। এই অবস্থাতেও এখন বাসাতেই আছেন।
সমাজে যারা বিত্তবান আছেন তাদের চঞ্চল মাহমুদের চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান নুসরাত ইব্রাহিম।
২০২১ সালের ২১ আগস্ট চঞ্চল মাহমুদ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর ল্যাব এইড হাসাপাতালে ‘লাইফ সাপোর্টে’ ছিলেন। এর আগেও চার বার হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন এ আলোকচিত্রী; তার সঙ্গে ডায়াবেটিসের জটিলতাও রয়েছে।
চঞ্চল মাহমুদ বাংলাদেশের ফ্যাশন ও মডেল আলোকচিত্র জগতে অন্যতম নাম। প্রায় সাড়ে ৪ দশক ধরে আলোকচিত্রী হিসেবে কাজ করছেন তিনি। ‘চঞ্চল মাহমুদ ফটোগ্রাফি’ নামে একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র পরিচালনা করেন। তার ছবি নিয়ে বেশ কয়েকটি প্রদর্শনী হয়েছে। বাংলাদেশের অসংখ্য মডেল, অভিনেতা তার ছবির মধ্য দিয়ে পরিচিতি ছড়িয়েছেন।
তিনি বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি, প্রোব নিউজ, কমনওয়েলথ জার্নালিজম সোসাইটির সাথে যুক্ত আছেন।