পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) ঘরোয়া ক্রিকেটে সংস্কারের ঘোষণা দেয়ার পর বলছে, নতুন কাঠামোতে দলের সংখ্যা কমা সত্ত্বেও তারা এই মৌসুমে এক বিলিয়ন রুপি বাড়তি যোগ করবে।
পিসিবির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ম্যাচ-ফি, ভাতা এবং পুরস্কারের অর্থের উপর ভিত্তি করে খেলোয়াড়দের ‘অভূতপূর্ব’ পারিশ্রমিক প্রদানে এবং তাদের কল্যাণের জন্য একটি বিশাল অংশ বরাদ্দ করা হয়েছে।
ঘরোয়া টুর্নামেন্টে পুরষ্কারের পরিমাণে কায়েদ-ই-আজম ট্রফির বিজয়ীদের অর্থ ২৩৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান কাপ ও জাতীয় টি-টুয়েন্টি কাপের পুরস্কারের পরিমাণ ১৫০ ও ১০০ শতাংশ বেড়েছে।
দেশের প্রধান প্রথম শ্রেণির টুর্নামেন্ট কায়েদ-ই-আজম ট্রফি বিজয়ীদের জন্য ১০ মিলিয়ন রুপি এবং রানার্সআপরা পাবে পাঁচ মিলিয়ন রুপি। টুর্নামেন্টের সেরা পারফর্মারও পাবেন পাঁচ মিলিয়ন রুপি। ফাইনালের ম্যাচসেরা পাবেন ৫০ হাজার রুপি।
পাকিস্তান কাপ ওয়ানডে টুর্নামেন্ট এবং জাতীয় টি-টুয়েন্টি কাপের বিজয়ীরা পাবে পাঁচ মিলিয়ন রুপি এবং রানার্সআপরা পাবে এর অর্ধেক। উভয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ম্যাচসেরা হওয়া খেলোয়াড় পাবেন ৩৫ হাজার রুপি।
ওয়ানডের সেরা পারফর্মার পাবেন আড়াই লাখ রুপি। আর টি-টুয়েন্টির সেরা পারফর্মার পাবেন এক লাখ রুপি।
নতুন মডেল অনুসারে ছয়টি ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন ৩২ জন করে খেলোয়াড়কে স্থিতিশীল আয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে এক বছরের চুক্তি প্রদান করবে। ১৯২ জন চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় ৫০ হাজার রুপি মাসিক বেতনের ভিত্তিতে প্রতি বছর ৬ লাখ টাকা উপার্জন করবেন।
আগে পাকিস্তানের প্রথম শ্রেণি স্তরের আঞ্চলিক ক্রিকেটাররা কেবল ম্যাচ ফির উপর নির্ভরশীল ছিলেন।
চুক্তিবদ্ধ ৩২ জন খেলোয়াড় দৈনিক ভাতার পাশাপাশি ভেন্যুগুলোতে থাকা, সকালের নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবারসহ আন্তঃপ্রদেশে ভ্রমণ করার সময় বিমান ভাড়াও পাবেন।
পিসিবির চিফ এক্সিকিউটিভ ওয়াসিম খান বলেছেন, প্রথম শ্রেণির পর্যায়ে ক্রিকেটের মান বাড়ানোর পাশাপাশি নতুন কাঠামো তাদের ঘরোয়া ক্রিকেটারদের উপার্জন ও জীবনযাত্রার মান উন্নত করার জন্য তৈরি করা হয়েছে।