চ্যানেল আই অনলাইন
হৃদয়ে বাংলাদেশ প্রবাসেও বাংলাদেশ

‘ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেই সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ’

টেকনাফের বাহাছড়ায় মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে  র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

সংস্থাটি বলছে, এই হত্যাকাণ্ডের মুল নায়ক ছিলেন তৎকালীন টেকনাফ থানার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ। তার নির্দেশেই পরিদর্শক লিয়াকত টেকনাফের বাহারছড়া চেকপোস্টে মেজর (অব.) সিনহাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।

রোববার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাবের আইন ও গগণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ।

তিনি বলেন, রোববার সকালে কক্সবাজার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় ১৫ জনকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) জমা দিয়েছে র‍্যাবের তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম।

সিনহা মো. রাশেদ হত্যার ঘটনায় শিপ্রা দেবনাথ ও সিফাতের বিরুদ্ধে পুলিশের দায়ের করা দুই মাদক মামলার সত্যতা পায়নি তদন্ত কর্মকর্তা- এই মর্মে চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়েছে। এছাড়াও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে করা তিনটি মামলার সত্যতা পাওয়া যায়নি।

আশিক বিল্লাহ বলেন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকেই মেজর সিনহার মৃত্যু নিশ্চিত করেন ওসি প্রদীপ। পরে তিনি সময় ক্ষেপণের জন্য তাকে হাসপাতালে পাঠান। ওই রাতের নীলিমা রিসোর্টে অভিযান পরিচালনা করে সিনহার সঙ্গীদের আটক করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়।

তিনি বলেন, হত্যা মামলার তদন্তে বেরিয়ে এসেছে সিনহাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওসি প্রদীপের নির্দেশেই পরিদর্শক লিয়াকত ৫ সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে হত্যাকাণ্ডটি চালায়। আর এই হত্যাকাণ্ডে ১৫ জন প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন।

১৫ জন আসামির মধ্যে ইতিমধ্যে ১৪ জন গ্রেপ্তার হয়েছে বাকি একজন কনস্টেবল সাগর দেবনাথ পলাতক  রয়েছেন।