বল হাতে আসার আগেই কনুই দিয়ে স্টাম্প ভেঙে ফেলা, স্টাম্পের পেছনে স্থির না থেকে সামনে চলে আসা। সম্প্রতি মুশফিকুর রহিমের উইকেটরক্ষণে ঘটছে অপ্রত্যাশিত এসব ঘটনা। অতি উৎসাহিত কিংবা নার্ভাস হয়ে ভুল করে ফেলছেন মুশফিক। যার চড়া মাশুল দিচ্ছে বাংলাদেশ। প্রশ্ন উঠেছে লিটন দাসের মতো প্রতিভাবান কিপার থাকতেও কেনো গ্লাভস হাতে মুশফিককেই বেছে নিচ্ছে টিম ম্যানেজমেন্ট।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে ত্রিদেশীয় টি-টুয়েন্টি সিরিজের ফাইনালে নামার আগেরদিন সংবাদ সম্মেলনে এর পেছনের যুক্তি খণ্ডন করেছেন বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো।
‘এই মুহূর্তে কিপার বদলানোর সম্ভাবনা নেই। লিটন মাঠে যেভাবে নিজেকে মেলে ধরে, আমরা তাতে সন্তুষ্ট। সে দারুণ ফিল্ডার, মুশির চেয়ে ভালো ফিল্ডার। আমার মতে, যতজন ভালো ফিল্ডারকে আমরা পাই, তত দলের জন্য ভালো। লিটন-আফিফ-শান্তর মতো ফিল্ডাররা যে ৫-৬ রান বাঁচায় মাঠে, সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
‘এটি একটি কারণ। সে(লিটন) ভালো ফিল্ডার। মুশি সম্প্রতি দুয়েকটি বল মিস করেছে বটে। তবে মুশি যেভাবে কিপিং করে, তাতে এমনিতে আমরা খুশি। স্টাম্পের পেছনে সে দারুণ প্রাণবন্ত, অনেক অভিজ্ঞ, স্টাম্পের পেছন থেকে খুব ভালো দেখতে পারে বলে অধিনায়ককে কার্যকর কিছু পরামর্শ দিতে পারে। সে কিপিং করলে অনেক সুবিধা পাই আমরা।’
তিনশরও বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচে গ্লাভস হাতে নেয়ার অভিজ্ঞতা, পাশাপাশি দলের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন হওয়ায় উইকেটের পেছন থেকে বল দেখে ব্যাটিংয়ে নামার আগে দলকে পরামর্শ দেয়ার কাজটি হয়ত ভালোই পারেন মুশফিক। কিন্তু এটি যেমন দলকে উপকৃত করে তেমনি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে স্টাম্পিং কিংবা ক্যাচ মিসের চড়া খরচাও মাঝে মাঝেই গুনতে হয় বাংলাদেশকে।