পাকিস্তানের বিপক্ষে ১৪-০ গোলে জয়ের পরও মাটিতেই পা থাকছে বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের। সোমবার আরেকটি লড়াই। সন্ধ্যা ৭টায় গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে নেপালের সঙ্গে লড়বে সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ বালিকা ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। পাকিস্তান আগেই বিদায় নেয়ায় সেমি নিশ্চিত বাংলাদেশের। তবে জিতে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে যেতে চান মারিয়া মান্ডারা, শামসুন্নাহার ও তহুরারা।
জয়ের পর শুক্রবার বিকালটা ঘুরেই কাটিয়েছেন মারিয়ারা। অনেকে আবার জিম করেন হোটেলে। অনেকে আবার থিম্পুতে কেনাকাটাও করেন। আরেকটি ম্যাচের আগে বাড়তি চাপ নিতে চাইছেন না মেয়েরা। ভুটানের থিম্পুর চাংলিমিথাং স্টেডিয়ামে এবারও নির্ভার হয়েই নামতে চায় মারিয়ার দল।
তার উপর বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ গোলাম রাব্বানী ছোটন মেয়েদের অনুপ্রেরণা দিতে পাশে থাকছেন সবসময়।
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ নারী ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপের দ্বিতীয় আসরে এবার অংশ নিচ্ছে ভুটান, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা। বাংলাদেশ খেলছে ‘বি’ গ্রুপে, যেখানে তাদের প্রতিপক্ষ পাকিস্তান ও নেপাল। ‘এ’ গ্রুপে রয়েছে ভারত, শ্রীলঙ্কা ও স্বাগতিক ভুটান। ১৬ আগস্ট দুটি সেমিফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। ১৮ আগস্ট ফাইনাল। তবে আপাতত নেপাল ম্যাচেই চোখ বাংলাদেশের মেয়েদের।
আরেকটি অনায়াস জয়ে উঠে যেতে চান সেরা চারে। আগের ম্যাচের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চান তারা। অধিনায়ক মারিয়া মান্ডা নেপাল ম্যাচে আগে বলেছেন, ‘আমাদের যে ছোটখাট ভুলক্রুটি আছে, কোচ সেটা দেখিয়ে দিয়েছেন। অনুশীলন করেছি, আশা করি নেপাল ম্যাচে আমরা আরো ভালো ফুটবল খেলব।’
গত বছর এই নেপালকে ৬-০ গোলে হারিয়ে আসর শুরু করেছিল বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে গোল পেয়েছিলেন তহুরা। এবারও তার পুনরাবৃত্তি করতে চান তিনি, ‘গোল করতে হলে আক্রমণাত্মক খেলতে হবে। এবারও আমরা আক্রমণাত্মক খেলবে এবং গোল করতে চাই।’
শক্তির বিচারে এগিয়ে থেকেই সোমবার মাঠে নামবে বাংলাদেশ। সে কথা অকপটে স্বীকার করেছেন নেপালি কোচ গঙ্গা গুরুং। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশ অনেক শক্তিশালী দল, তাদের বিরুদ্ধে জিততে হলে অনেক ভালো ফুবটল খেলতে হবে আমাদের। আমরা চেষ্টা করব দলের অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের নিয়ে ভালো ফুটবলার খেলার।’
পাকিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারালেও নেপালের বিপক্ষে আরো ভালো খেলতে চায় বাংলাদেশ। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা ধরে রাখাই চ্যালেঞ্জ তাদের। গত বছর ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিলেন বাংলাদেশের মেয়েরা। এবারও একই ছন্দ ধরে রেখেই শেষ করতে চান টুর্নামেন্ট। তবে তার আগে প্রতিটি ম্যাচ ধরে সামনে ছুটতে চায় তারা।