গ্রিসের অর্থনৈতিক দেউলিয়াত্বের কারণে ধস নেমেছে এশিয়া এবং ইউরোপের মুদ্রা ও পুঁজি বাজারে। আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলকে ঋণের টাকা ফেরতে দিতে গিয়ে প্রায় পথে বসা গ্রিসকে এক সপ্তাহের জন্য নিজের পুঁজিবাজার ও ব্যাংক বন্ধ রাখতে হচ্ছে। এ পরিস্থিতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বিশ্ব পুঁজি বাজারে।
আজ সাপ্তাহিক লেনদেনের দ্বিতীয় দিনে বিশ্বের বৃহৎ পুঁজি বাজারগুলোতে সূচকের পতন ছিলো লক্ষণীয়। এশিয়ার মুদ্রা বাজারে ইউরো মুদ্রার মূল্যও পড়ে গিয়েছে। ইউরোর মূল্য আজ এক পয়েন্ট কমে দাড়ায় ১.০৯৫৩ ডলারে। যা গত শুক্রবার ছিলো ১.১১৬৫ ডলার।
স্টক মার্কেটের মধ্যে এশিয়ার জাপান এবং হংকংয়ে সূচকের পতন ছিলো সবচেয়ে বেশি। টোকিও স্টক এক্সচেঞ্জ এর সূচক পতন হয়েছে প্রায় ৩ শতাংশ পর্যন্ত। হংকংয়েও সূচকের পতন হয়েছে আড়াই শতাংশের মতো।
গ্রিসকে যে ইউরো জোন থেকে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে সেই জোনের দেশগুলোর শেয়ার বাজারেও ছিলো সূচকের পতন। লন্ডন স্টক এক্সচেঞ্জের সূচক এফটিএসই-১০০ দিনের শুরুতেই ২শতাংশ পর্যন্ত পতনের শিকার হয়। জার্মানি এবং ফ্রান্সের শেয়ার মার্কেটের সূচকের পতন ছিলো ৩ শতাংশেরও বেশি।
আগামী দুই দিনের মধ্যেই গ্রিসকে আইএমএফের ১৬০ কোটি ডলার ঋণ শোধ করতে হবে। ওই অর্থ দিতে না পারলে গ্রিস ঋণ খেলাপী হয়ে যাবার পাশাপাশি তাদের ইউরোজোন থেকেও বেরিয়ে যেতে হবে।
এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ইউরোপিয়ান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জরুরি অর্থ দেয়া বন্ধের ঘোষণার পর সে দেশের ব্যাংকগুলোকে বন্ধ রাখা এবং পুঁজির উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন গ্রিসের প্রধানমন্ত্রী অ্যালেক্সিস সিপ্রাস।