বিজ্ঞাপনী সংস্থা থেকে শুরু করে বিভিন্ন সংস্থার কাছে গ্রাহকের মূল্যবান তথ্য ফাঁসের ফলে তোপের মুখে পড়া ফেসবুক এখন তথ্য সংগ্রহের বিষয়ে সরাসরি গ্রাহক বা ব্যবহারকারীর অনুমতি নিচ্ছে।
কীভাবে ফেসবুক তথ্য সংগ্রহ করে এবং কীভাবে এসব ব্যবহার করা হয়, তা ব্যবহারকারীকে জানাতে আগের চেয়ে বেশি স্বচ্ছতা বজায় রাখতেই এই ব্যবস্থা করেছে বিশ্বের শীর্ষ এই সামাজিক মাধ্যমটি।
ইতোমধ্যে এই বিষয়ে ব্যবহারকারীদের মতামত যাচাই করেছে ফেসবুক এবং এসব কৌশলগত পরিমার্জন বিষয়ে ফেসবুক নিউজরুমে অবস্থান তুলে ধরেছেন ফেসবুকের চিফ প্রাইভেসি অফিসার ইরিন ইগান।
এখন ব্যবহারকারীদের নিউজ ফিডে অ্যালার্ট বা সাবধান বার্তা পাঠিয়ে বিজ্ঞাপন, ফেস রিকগনিশন, প্রোফাইলে দেয়া ব্যক্তিগত তথ্যসহ ব্যবহারকারীর যাবতীয় তথ্য বিষয়ে সম্মতি চাইছে ফেসবুক।
ফেসবুকের দাবি করছে: ব্যবহারকারীর ডেস্কটপ,ল্যাপটপ এবং স্মার্টফোন থেকে অপারেটিং সিস্টেম, হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ব্যাটারি লেভেল, সিগনাল স্ট্রেনথ, স্টোরেজ স্পেস, ব্রাউজারের ধরন, অ্যাপ, ফাইলের ধরণ-নাম,ব্লুটুথ সিগনাল, নিকটবর্তী ওয়াইফাই এবং মোবাইলফোন টাওয়ারের তথ্য নেয়া হয়। এছাড়া ডিভাইস সেটিংসে ব্যবহারকারী ‘অ্যালাউ’ করলে বা অর্থাৎ সম্মতি দিলে জিপিএস লোকেশন, ক্যামেরা,ফটো সম্পর্কিত ডাটাও সংগ্রহ করে ফেসবুক।
শুধু এসবই নয় ব্যবহারকারীর মোবাইলফোন নম্বর থেকে শুরু করে কোন অপারেটর ব্যবহার করছেন কিংবা কোথা থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিচ্ছেন, কোন ভাষায় যোগাযোগ করছেন, স্থানীয় সময় এসব তথ্যও সংগ্রহ করে ফেসবুক।
এমনকি ব্যবহারকারী চাইলে মোবাইলফোনের কন্টাক্ট, কল লগ, এসএমএস হিস্টরিও ফেসবুকের নাগালে থাকে।
ফেসবুকের আওতাধীন হোয়াটসঅ্যাপ,ইন্সটাগ্রামে ব্যবহারকারীর তথ্য সংগ্রহের বিষয়টিও যুক্ত হয়েছে এবার।
প্রযুক্তি সংবাদদাতা টেকক্রাঞ্চ বলছে, এর মাধ্যমে অবশেষে ফেসবুক স্বীকার করে নিলো যে হোয়াটসঅ্যাপ, ইন্সটাগ্রাম আসলে ‘দি ফেসবুক কোম্পানিজ’-এর অংশ।