গ্রামের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে হঠাৎ বেড়েছে শিক্ষার্থী উপস্থিতি। অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর তথ্য অভিভাবক ও পুলিশকে জানাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশ জারির পর পাল্টে গেছে আগের চিত্র।
সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেণী। ভাল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসেবে স্থানীয়দের কাছে এ কলেজের মর্যাদা আলাদা। স্বাভাবিক ভাবেই ৭০ থেকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে এখানে। তবে গত তিন সপ্তাহে উপস্থিতির হার ৯০ থেকে প্রায় শতভাগ।
শিক্ষার্থীরা বলছে, অাগে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক কম থাকলেও এখন শিক্ষকদের চাপে প্রতিদিন কলেজে উপস্থিত থাকতে হয়। এছাড়া শিক্ষকরা আমাদের কিছু নিয়ম বলে দিয়েছেন, যেমন বোরকা পড়ে আসলে মুখ ঢেকে আসা যাবে না, কলেজ পোশাক সহকারে আসতে হবে, অন্য পোশাক পরে আসা যাবে না।
সারাদেশের মতো সিরাজগঞ্জেও প্রায় প্রতিদিনই জঙ্গি বিরোধী নানা কার্যক্রমে অংশ নেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। শিক্ষকরা বলছেন, এসবের সুফল পেতে শুরু করেছে শিক্ষাঙ্গন।
শাহজাদপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক মাহাবুবুর রহমান মিলন বলেন, উপস্থিতি অন্যান্য সময়ের চেয়ে কলেজে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি অনেক বেশি। পূর্বের যেকোনো সময়ের চেয়ে শিক্ষাঙ্গনে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বর্তমানে কোনো শিক্ষার্থী অনুপস্থিত থাকলে আবেদন করে ছুটি নিতে হয় এবং যথারীতি আবার ছুটি শেষ হলে উপস্থিত থাকতে হচ্ছে।
সিরাজগঞ্জের শিক্ষাবিদ অধ্যাপক নাছিমউদ্দিন মালিথা বলেন, সরকারের এ তৎপরতার কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সেচতনতা বেড়েছে। আমরা মনে করি সব মিলিয়ে শিক্ষা কার্যক্রমের গতি ফিরে পেয়েছে।
ক্লাশে অনুপস্থিত থাকার কারণে কোনো ধরনের হয়রানিতে পড়তে চায় না শিক্ষার্থীরা। তাই বদলে গেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিত্র। তবে এমন উপস্থিতির চিত্র কত দিন থাকবে সেই নিশ্চয়তা দিতে পারেননি কোনো শিক্ষক।