গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে চলা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবিতে) বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
শনিবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও রাজু ভাস্কর্যে সংহতি সমাবেশ করে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ৷
সেখানে বশেমরবিপ্রবি উপাচার্য খোন্দকার নাসির উদ্দিনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন৷
এসময় শিক্ষার্থীরা “জেগেছে রে জেগেছে ছাত্র সমাজ জেগেছে”, “শিক্ষা সন্ত্রাস একসাথে চলে না”, “হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না”, “ভাইয়ের ওপর হামলা কেন প্রশাসন জবাব চাই”, এক দুই তিন চার দালাল ভিসি গদি ছাড়”, “স্বৈরাচারের বিষদাঁত ভেঙ্গে দাও গুড়িয়ে দাও” বিভিন্ন স্লোগান দেন।
বিক্ষোভ সমাবেশে সংহতি জানিয়ে ডাকসুর ভিপি ও বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক নুরুল হক নুর বলেন, ‘রাজনৈতিক দলদাস ও অনুগত ব্যক্তিদের দিয়ে পরিচালনার মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে আসা হয়েছে৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেকোনো যৌক্তিক আন্দোলনে প্রশাসন ছাত্রলীগের মাস্তানবাহিনী দিয়ে হামলা চালায়৷ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়েই আমরা এই চিত্র দেখেছি৷ একই চিত্র দেখতে পাচ্ছি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুণ্যভূমি গোপালগঞ্জে৷ সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শিক্ষার্থীদের বাছুড় বলে মন্তব্য করেন৷ খোন্দকার নাসিরের মতো অপদার্থ একজন উপাচার্যকে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠান কীভাবে চলে?
নূর বলেন, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা যাতে ক্যাম্পাসে না আসতে পারেন, তার জন্য একটি সাঁকো পর্যন্ত ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং ভাঁড়াটে মাস্তান দিয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়েছে৷ গোপালগঞ্জের প্রশাসনকে বলতে চাই, বঙ্গবন্ধুর পুণ্যভূমিকে যে উপাচার্য কলঙ্কিত করলেন, আপনারা তার ও তার প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন৷
সংহতি বিক্ষোভে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের আহ্বায়ক হাসান আল মামুন বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য খোন্দকার নাসিরের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানাতে আমরা প্রয়োজনে গোপালগঞ্জে যাব৷ আমরা তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি৷
সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন মোল্লার সঞ্চালনায় সংহতি বিক্ষোভে অন্যদের মধ্যে পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, লুৎফুন নাহার, আবু হানিফ, ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক আখতার হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম প্রমুখ বক্তব্য দেন৷