আসাদুজ্জামান বাবুল, গোপালগঞ্জ:
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ওড়াকান্দি হরিচাঁদ ঠাকুরের বাড়ীতে শুক্রবার ভোর রাতে শুরু হওয়া পূণ্য স্নানোৎসব শেষ হয়েছে আজ শনিবার ভোরে।
পূজা অর্চনার মধ্যদিয়ে দিয়ে শুরু হওয়া এ স্নানোৎসব চলাকালীন সময়ে নারী-পুরুষ কোন ভেদাভেদ চোখে পড়েনি। ‘পাপ মোচনে’র আশা বুকে বেঁধে যে যার মতো করে স্নানোৎসব শেষ করেছে ।
গত দুদিন ধরে এ পূণ্য স্নানোৎসবে অংশ ভক্তরা ঠাকুর বাড়ি স্নানোৎসব করেছে। তবে, এবার হয়নি তিন দিনব্যাপী মহাবারুণী মেলা।
স্থানীয়দের কেউ কেউ বলেছেন, ঠাকুরবাড়ির সদস্য ও সরকার দলীয় কাশিয়ানী উপজেলা চেয়ারম্যান সুব্রত ঠাকুর আন্তরিক হলেই হয়তো স্নানউৎসব বন্ধ করা সম্ভব হতো।
অভিযোগ করে তারা বলেন, হাজারো মতুয়াদেও স্নানোৎসব থেকে করোনার সংক্রমন ব্যপকভাবে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
তাদের দাবি, করোনার কারণে স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওড়াকান্দি ঠাকুর বাড়িতে স্নানোৎসব ও তিন দিনব্যাপী মেলা বন্ধের নির্দেশনা দেওয়া হলেও মতুয়াভক্ত এসব নির্দেশনা উপেক্ষা করে কাশিয়ানীর ওড়াকান্দিতে পূজা অর্চনা ও স্নানোৎসবে যোগ দেন।
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ১২১৮ বঙ্গাব্দে ইংরেজি ১৮১১ খ্রিস্টাব্দের ১১ মার্চ কাশিয়ানী উপজেলা সাফলীডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। হরিচাঁদ ঠাকুরের বাল্য নাম ছিল হরি ঠাকুর। যদিও ভক্তরা তাকে হরিচাঁদ নামেই ডাকতেন। পিতা যশোবন্ত ঠাকুরের পাঁচ ছেলের মধ্যে তিনি ছিলেন দ্বিতীয়। পরে পার্শ্ববর্তী ওড়াকান্দি গ্রামে বসতি গড়েন হরিচাঁদ ঠাকুর। সেখানে হরিচাঁদ ঠাকুরের অলৌকিকত্ব ও লীলার জন্য প্রসিদ্ধ হয়ে ওঠেন।
শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের ২১০ তম জন্মতিথি উপলক্ষে শুক্রবার ওড়াকান্দি গ্রামের ঠাকুরবাড়িতে বারুণী স্নানোৎসব ও তিন দিনব্যাপী মেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে স্থানীয় প্রশাসন দ্বিতীয়বারের মতো মেলা বন্ধ করে দেয়। গত বছরও এ সময়ে করোনার প্রথম ধাপের সংক্রমণ ঠেকাতে এই উৎসব বন্ধ রাখা হয়েছিল।