গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী বাসষ্ট্যান্ডে একদল গ্রামবাসী আরেকদল গ্রামবাসীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ালে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতী বাসষ্ট্যান্ডে দফায়-দফায় হামলা চালিয়ে ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান-বসতবাড়ী ভাংচুর- লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানায় আলাদা-আলাদাভাবে দায়েরকৃত ৫টি মামলায় এক হাজারেরও বেশী মানুষকে আসামী করা হয়েছে।
এরমধ্যে পুলিশের দায়েরকৃত মামলায় ১৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত আসামী করা হয়েছে আরো ৭/৮শত মানুষকে ও ক্ষতিগ্রস্তদের দায়েরকৃত ৪টি মামলায় আসামী করা হয়েছে কমপক্ষে ২০০ জনকে। পৃথক ৫টি মামলা দায়েরের পর সংশ্লিষ্ট এলাকা বলতে গেলে এখন অনেকটা পুরুষশুন্য হয়ে পড়েছে। গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিয়েছে আসামীরা।
টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি মো,এ কে এম এনামুল কবির সাংবাদিকদের বলেছেন, গত সোমবার বিকালে শ্রিরামকান্দি গ্রামের সাইফুল পাটগাতী বাসষ্ট্যান্ডে গিমাডাঙ্গা গ্রামের ৩ জন কলেজ ছাত্রকে চড়-থাপ্পড় মারে। ঘটনার প্রতিবাদ করলে ক্ষিপ্ত হয় সাইফুল। এ নিয়ে পরদিন মঙ্গলবার বিকালে পাটগাতী বাসষ্ট্যান্ডে গিমাডাঙ্গা ও শ্রিরামকান্দি গ্রামের লোকজনের সঙ্গে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে শ্রীরামকান্দি গ্রামের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে গিমাডাঙ্গা গ্রামে ও পাটগাতী বাসষ্ট্যান্ডে হামলা চালিয়ে একাধিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-বসতবাড়ী ভাংচুর- লুটপাট ও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়।
এ নিয়ে শ্রিরামকান্দির লোকজনের সঙ্গে গিমাডাঙ্গা গ্রামবাসী দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকায়। টানা ৩ ঘন্টা সংঘর্ষে একে অপরের ইট-পাটকেলের আঘাতে কমপক্ষে ৩০ জনের মত মানুষ আহত হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রায় দেড় শতাধিক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করলে উত্তেজিত শ্রিরামকান্দি গ্রামের লোকজন পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।
এতে ৪/৫জন পুলিশ সদস্য আহত হয়। পরে গোপালগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত দাঙ্গা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে রাত ১০ টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।