‘আমি গেরিলা ছবিতে নিজেকে উজাড় করে অভিনয় করেছিলাম। গেরিলায় অভিনয় করার সময় আমার মনে হতো আমি আমার মুক্তিযোদ্ধা পিতার মতো অকুতোভয় এক গেরিলা যোদ্ধা। সে এক অনন্য অনুভূতি।’
নাসিরউদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ইমপ্রেস টেলিফিল্মের চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’ নিয়ে এভাবেই কথাগুলো বললেন ঢাকা-কলকাতায় সমান জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান।
২০১১ সালে মুক্তি পায় মুক্তিযুদ্ধ নির্ভর প্রশংসিত চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’। সিনে আলোচকদের প্রশংসা ছাড়াও ছবিটি সেসময় বেশকিছু বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নেয়। এই ছবি দিয়েই প্রথমবার সেরা অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন জয়া। তাই ছবিটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে তার ইমোশন। তার অল্পই যেন প্রকাশ করলেন তিনি।
মূলত বিজয়ের ৪৬ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে ১৬ ডিসেম্বর দেশব্যাপী প্রেক্ষাগৃহগুলোতে বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা নিয়েছে সরকার। দেখানো হবে চারটি চলচ্চিত্র। এরমধ্যে রয়েছে জয়া আহসান অভিনীত ইমপ্রেসের ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রটিও। আর এ কারণে উচ্ছ্বসিত জয়া। শুধু তাই নয়, সরকারের এমন আয়োজনকে আন্তরিকভাবে সাধুবাদও জানিয়েছেন তিনি।
সরকারের পক্ষ থেকে দেশব্যাপী বিনামূল্যে মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর বিষয়কে নতুন প্রজন্মের জন্য ইতিবাচক মন্তব্য করে জয়া বলেন,মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর সারাদেশে গেরিলা সহ চারটি মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করার জন্য সরকার সকল সিনেমা হল মালিকদের আহ্বান জানিয়েছেন । সর্বমোট দেড়শতাধিক হলে সিনেমাগুলো দেখানো হবে। সরকারের এ আয়োজনকে আমি সাধুবাদ জানাই। নুতন প্রজন্মের মাঝে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে এ ধরনের পদক্ষেপ অতি অবশ্যই করণীয়।
এছাড়া জয়া নিজেও প্রেক্ষাগৃহতে গিয়ে দর্শকদের সঙ্গে গেরিলা দেখবেন বলে জানান। এবং সবাইকে প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিগুলো দেখার আমন্ত্রণ জানান।
গেরিলা ছাড়াও ১৬ ডিসেম্বর দিনভর প্রেক্ষাগৃহগুলোতে দেখানো হবে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘ওরা ১১ জন’, হুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত ‘আগুনের পরশমণি’ এবং ইমপ্রেস টেলিফিল্মের ব্যানারে নির্মিত তৌকীর আহমেদের ‘জয়যাত্রা’।