গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রের উৎসের সন্ধান পেয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি দুইটি ঘটনারই মদদদাতাদেরও চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের আইজি এ কে এম শহীদুল হক। সারাদেশে নিখোঁজদের তালিকা প্রকাশ করবে পুলিশ সদর দপ্তর।
পুলিশের পেশাদারিত্ব ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমসাময়িক বিভিন্ন ইস্যুতে তাত্ত্বিক ও ব্যবহারিক জ্ঞান বাড়াতে প্রফেশনাল মাস্টার্স কোর্সের উদ্বোধন করেছেন আইজিপি এ কে এম শহীদুল হক। পুলিশ স্টাফ কলেজে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান শেষে গুলশান ও শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলা মামলার অগ্রগতি নিয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি।
ওই দুই ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্রের যোগানদাতাদের চিহ্নিত করে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
পুলিশ প্রধান বলেন, ‘তারা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে তা অত্যাধুনিক – সেটা আমি বলব না। তবে তা দিয়ে মানুষ মারা যায়। সেই অস্ত্রের উৎস আমরা খুঁজে পেয়েছি। এখানে অনেকগুলো সোর্স আছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে বিভিন্নজনের মাধ্যমে অস্ত্র এসেছে। আমরা এরকম দু’একটি উৎস সনাক্ত করেছি এবং এর সঙ্গে জড়িতদের আমরা গ্রেফতার করেছি।’
দেশীয় মদদদাতাদের এরই মধ্যে চিহ্নিত করা হয়েছে জানিয়ে সন্ত্রাসী হামলায় আন্তর্জাতিক জঙ্গিসংগঠনের সম্পৃক্ততা রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান পুলিশ প্রধান। নিখোঁজদের তালিকা নিয়েও কথা বলেন আইজিপি।
তিনি বলেন, যাচাই-বাছাই করে যখন একটি চূড়ান্ত আকারে আসবে তখন জাতীয়ভাবে নিখোঁজদের একটি বিস্তারিত তালিকা করে সেটি জানিয়ে দেয়া হবে। সব নিখোঁজই যে জঙ্গি কার্যক্রমে অংশ নিয়েছে তা নয় – বিষয়টি স্পষ্টভাবে মনে করিয়ে দিলেন আইজিপি শহীদুল হক।
গুলশান হামলায় নিহত জঙ্গিদের লাশগুলো পরিবার নিতে না চাইলে অঞ্জুমান মফিদুল ইসলামের মাধ্যমে দাফন করা হবে বলে জানানো হয়েছে।