গুলশান এবং শোলাকিয়ায় হামলার বিষয়ে আগে থেকেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে তথ্য ছিল জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, এ কারণেই হামলা দমন করা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেছেন, ৫০টি টার্গেট কিলিং এর পেছনে কারা আছে সে বিষয়েও সব তথ্য পাওয়া গেছে।
রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে জননিরাপত্তা ও আইন শৃঙ্খলা বিষয়ক একটি মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘গুলশান হামলার আগে এ বিষয়ে সব ধরনের গোয়েন্দা তথ্য আমাদের কাছে ছিল। গোয়েন্দা তথ্য ছিল, গুলশান এলাকায় কিছু একটা ঘটতে পারে। এ কারণে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি ছিল। শোলাকিয়ায়ও একই ধরনের হামলার চেষ্টা হয়েছিল, পুলিশ চেকপোস্টে আমাদের পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছে। এর পেছনে কারা, কারা এদের মদদ দিয়েছে, তা আমাদের জানা আছে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, ‘স্বাধীন দেশে রাষ্ট্রদ্রোহীদের জায়গা নেই। আমরা কঠোর হাতে তা দমন করবো। আমরা বিশ্বাস করি, এই দেশের তরুণরা এতটা বিপথগামী নয়। তারা এই সামাজেরই সন্তান, তারা মানুষ হত্যা করতে পারে এটা বিশ্বাস হয় না।’
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা বলেন, কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করে না।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, অল্প সংখ্যক শিক্ষক জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত। তাদের কেউ রেহাই পাবে না। জঙ্গিবাদের সঙ্গে শিক্ষকদের যে অংশটি জড়িত, তাদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
শিক্ষা কার্যক্রম চালু থাকা ৮৫টিসহ ৯৫টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
ও শিক্ষক প্রতিনিধিরা সভায় অংশ নেন। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও শীর্ষ
ইংরেজী মাধ্যম শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষরা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ, র্যাব ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
সভায় জানানো হয়, আগামী ২১ জুলাই সব কলেজের অধ্যক্ষ, ২৩ জুলাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আর চলতি মাসের শেষদিকে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা করবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।