হত্যাকাণ্ডতো এখন নৈমিত্তিক ব্যাপার, দৈনন্দিন জীবনেরই অংশ। এমন একটা দিনও কি আমরা পেরুতে পারি, যেদিন ‘হত্যাকাণ্ডের’ খবর শুনিনা? তবে কখনও কখনও হত্যাকারীদের মানুষ মারার কলাকৌশল (এবং কারণও) মানবিকতাকে নাড়া দেয়, সভ্যতার শেকড় উপড়ে ফেলতে উদ্যত হয়। হত্যার নৃশংস পদ্ধতি দেখে বিবেক দুমড়ে মুচড়ে যায়।
ঢাকার গুলশানের ‘হলি আর্টিজান’ রেস্তোরাঁর সাম্প্রতিক হত্যাকাণ্ডের নৃশংসতা আমাদের আতঙ্কিত করেছে, বেদনার্ত করেছে এবং জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হয়েছি।
“ভায়ের মায়ের এত স্নেহ, কোথায় গেলে পাবে কেহ ..” – আমাদের চেনা বাংলাদেশতো এমনই। কিন্তু ‘হলি আর্টিজান’ রেস্তোরাঁর এই ঘটনার পরে বাংলার কোন কবি কি আর এমন পংক্তি লিখতে পারবে? দেশের জাগ্রত বিবেক আজ স্তম্ভিত! উঠতি বয়সের ছেলেপিলেরা কিনা মানুষ জবাই করলো? জবাইকৃত একজনের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আরো বিশজনের রক্তে ঘরের মেঝে রঞ্জিত করলো ওরা?
দেহ থেকে মাথাটি বিচ্ছিন্ন করবার আগে শরীরের অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো কেটেকুটে টুকরো করলো? বিশজন মানুষের রক্তে সাঁতার কাটলো উঠতি বয়সের তরুনেরা? সামান্যতম বিবেকের দংশন হলো না এই ছেলেগুলোর? “যৌক্তিক কারণে হত্যা”, -কথাটি আপাত:শ্রবনে অদ্ভুত ও অস্বস্তিকর শোনায় বটে। কিন্তু সমাজে সেটার এক ধরণের প্রচলন আছে। যেমন ধরুন, কোন মামলার বিচার পরবর্তীতে কারো ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়াটাও কিন্তু (বিচারিক সিদ্ধান্ত হলেও) এক ধরণের হত্যাকাণ্ড, স্বাভাবিক মৃত্যু নয় ওটি। কারো ফাঁসি হয়েছে, -এমনটা শুনলে আমরা আঁতকে উঠি না, বরং মনে করি একজন অপরাধির উপযুক্ত শাস্তি হলো। আরো একধাপ এগিয়ে যদি দেখি তো, কেউ একজন তার পিতার হত্যাকারীকে হত্যা করে প্রতিশোধ নিলো। ‘হত্যার বদলে হত্যা’ গ্রহণযোগ্য বা সমর্থনযোগ্যও নয়।
কিন্তু এমন হত্যাকাণ্ডের পেছনে একটা কারণ (!) খুঁজে পাওয়া যায়। মনের মধ্যে যেন অনুচ্চারিত কিছু শব্দমালা নির্বাক ও অস্পষ্ট এক ধরণের সমর্থন দেয় এই বলে যে, ‘পিতৃ হত্যার প্রতিশোধ নিয়েছে’।‘হলি আর্টিজান’ রেস্তোরাঁর এতগুলো হত্যাকাণ্ডের নেপথ্য কারণটি কি? এতো পিতৃ বা ভ্রাতৃ হত্যার প্রতিশোধ নয়। এতো সম্পদ বা সম্পত্তি নিয়ে দলাদলির ফল নয়। এতো পূর্ব শত্রুতার জেরও নয়! নিহতদের কারো সাথেইতো হত্যাকারীদের জানাশোনা বা বিবাদ ছিলো বলে জানা যায় নাই। তাহলে কেন এতগুলো হত্যাকাণ্ড, আর এতটাইবা নৃশংসতা কেন? অনতিবিলম্বে এর কারণটি অনুসন্ধান করে তা সমূলে উপড়ে ফেলতে হবে। নইলে আজ যে আগুনে কেবল দেবালয়টি পুড়ছে, কাল সেই আগুনেই পুরো নগর পুড়ে ছারখার হয়ে যাবে।
ইসলামী উগ্রবাদি জঙ্গি সংগঠন আইএস এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেছে। জঙ্গি হামলাকারীরা আইএসের সাথে সম্পৃক্ত কিনা, সেটা তদন্ত সাপেক্ষ হলেও এরা যে সবাই বাংলাদেশের তরুণ, -সেটা জানতে তদন্তের প্রয়োজন নেই। যে দেশের গাছের শাখাগুলো পুষ্পে পুষ্পে ভরা, কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি, – আজ সে দেশের উঠতি তরুনেরা চাপাতির এক কোপে মানুষের দেহ থেকে মস্তক বিচ্ছিন্ন করে দেয়, ফিনকি দিয়ে ছোটে রক্তের সুতীব্র ধারা! কিন্তু কেন এ পরিবর্তন? এমনতো ছিলো না আমাদের সোনার বাংলা!এমন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিবর্তনের জন্য দায় বোধকরি কারোই একার নয়। এ দায় ব্যক্তির, পরিবারের, সমাজের, রাষ্ট্রের এবং নষ্ট রাজনীতির।
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের জনগণ উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যক্তিগত পর্যায়ে জ্ঞানার্জনে বিমুখ হয়েছে, সমাজ মুক্তচিন্তা করতে পারছে না, রাষ্ট্র “ভিন্ন মতকে” নিরাপত্তা দিতে অনাগ্রহ দেখাচ্ছে, রাজনীতি নীতি-নৈতিকতা ছেড়েছুড়ে “ভোট পাওয়া” কেন্দ্রিক হয়ে উঠেছে। এ যেন এক সর্বনাশা অমানিশায় পেয়ে বসেছে পুরো দেশটিকে।
যতটা জানা গেছে তাতে দেখা যায় গুলশান হামলায় অংশ নেওয়া জঙ্গিরা কেউই মাদ্রাসা-মক্তবে পাঠরত সুবিধাবঞ্চিত শ্রেণীভুক্ত নয়। সমাজের সামর্থবান ও সমৃদ্ধশালী পরিবারের সন্তান এরা। আধুনিক আদলে গঠিত বিদ্যায়তনসমুহে এরা লেখাপড়া করেছে। সমাজের তথাকথিত উঁচু শ্রেণীতে ওঠাবসা এদের। এবং জ্ঞানে-বিজ্ঞানে যথাযথভাবে সমৃদ্ধ হবার সুযোগ এদের সামনে ছিলো। কিন্তু তারপরেও এরা যুক্তিহীন চিন্তা দ্বারা তাড়িত হয়েছে এবং দানবীয় হত্যাকান্ড ঘটিয়ে নিজ ধর্মের মহিমা প্রচার করতে চেয়েছে। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে এ সত্য আবারো প্রতিষ্ঠা পেল যে, এরা পরমত সহিষ্ণু নয়, ভিন্ন চিন্তা, ভিন্ন ধর্ম ও ভিন্ন জীবনধারার মানুষদের প্রতি এরা নির্দয় ও নিষ্ঠুর।
গত দেড়-দু বছরে বাংলাদেশের মুক্তচিন্তার লেখক-ব্লগার, শিক্ষক, সাংবাদিক, যাজক, পুরোহিত, ভিক্ষু ইত্যাদি বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ ইসলামী উগ্রপন্থিদের আক্রমনের স্বীকার হয়েছেন। জীবনও হারিয়েছেন অনেকেই। দেশে “খাঁটি ইসলাম” প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে লিপ্ত এই সংগ্রামীদের চাপাতির ডরে আজ পুরো দেশটাই আতংকিত। এরাতো সোনার বাংলাকে আফগানিস্তান-সিরিয়া-লেবাননের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে!“ইসলাম শান্তির ধর্ম”, বহুশ্রুত এই শ্লোগানটি ইসলামকে যাঁরা জানেন বলে দাবি করেন এবং যাঁরা মোটেই জানেন না, উভয়েই উচ্চকন্ঠে সদাই বয়ান করে থাকেন।
কিন্তু বাস্তবে ইসলামের সেই “শান্তিতো” প্রত্নতাত্বিকের গবেষণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যারা নাখান্দাবান্দা তাদের “শান্তির ইসলাম” খুঁজে পেতেতো লাইব্রেরীতে গিয়ে পুরোনো পুথি ঘাটতে হয়! আর “অশান্ত ইসলাম” সারা পৃথিবীতে তান্ডব করছে। এটা খোঁজাখুঁজির দরকার পড়েনা। প্রতিদিনই “ইসলামী অশান্তি” দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে পড়ছে। সভ্য সমাজে নিজের মুসলমান পরিচয়টি আজ বিপন্ন এবং এক বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্নের জন্ম দিয়েছে। সমাজে ইসলামী জঙ্গিবাদের উত্থানের প্রতিকুল প্রতিবেশ তৈরীতে ব্যক্তি এবং পরিবারের পাশাপাশি রাষ্ট্র এবং রাজনৈতিক দলগুলোর সবিশেষ দায় রয়েছে।
রাষ্ট্র যখন ব্যক্তি বা সমষ্টির মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে দমন করে, এমনকি নিরুৎসাহীতও করে, -সেই রাষ্ট্রে তখন সন্ত্রাসবাদ নিভৃতে দানা বাঁধতে থাকে। মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে যেমন “যা খুশি তাই” বলবার স্বাধীনতা নাগরিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না, ঠিক তেমনি যথেচ্ছাচারে “বক্তার কন্ঠরোধও” রাষ্ট্র পরিচালনায় অস্বাস্থ্যকর।একটি আধুনিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় সর্বশ্রেণী ও পেশার নাগরিকদের স্বতস্ফুর্ত গণতন্ত্র চর্চ্চার মধ্য দিয়ে একটি সহনশীল ও বিজ্ঞানমনস্ক সমাজ কাঠামো গড়ে উঠে। মোটাদাগে বলতে গেলে জন্মের পর থেকে গত পঁয়তাল্লিশ বছরে বাংলাদেশের জনগণ রাষ্ট্রের দিক থেকে এ ধরণের কোন প্রণোদনা পায়নি। বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব রক্ষার প্রয়োজনেই এর চালকদের আজ এ ভাবনাটি ভাবতে হবে।
বাংলাদেশে ইসলামী সন্ত্রাসবাদের উত্থানের প্রাণভ্রোমরাটি “ভোটের রাজনীতিতে ধর্মীয় গোষ্ঠিগুলোর প্রভাব”, -এই বিষয়টির মধ্যেই নিহিত। দেশীয় রাজনীতির দুটি বড় ধারার মধ্যে বিএনপি ঘরানার কথা লিখে আজ আর পাঠকদের বিরক্তির কারণ হবো না। তাদের ধর্মনির্ভর রাজনীতির কথা সকলেই জ্ঞাত আছেন। বরং ধর্মনিরপেক্ষতার মোড়কে আঁটা আওয়ামী ঘরানা নিয়ে ছোট্ট পরিসরে দুকথা বলি।সারা পৃথিবীতে সর্বকালেই মুক্তচিন্তার মানুষেরা তাঁদের অর্জিত জ্ঞানের ভান্ডার থেকে প্রয়োজন অনুযায়ী কিছু চিন্তাকে অবমুক্ত করেছেন মানুষের অন্ধতা, (ধর্মীয়) গোড়ামী ও পশ্চাৎপদতার বিপরীতে সঠিক জ্ঞানের আলো দেখানোর জন্য। সম্প্রতি বাংলাদেশে এ শ্রেনীর মানুষদের জীবন বিপন্ন।
প্রতিনিয়ত আমরা দেখছি ব্লগার, শিক্ষক, লেখকেরা জীবন হারাচ্ছেন মৌলবাদী সন্ত্রাসীদের হাতে। এ সব বিপথগামীদের বিরুদ্ধে সরকারের রুটিন কাজগুলো চলছে; যেমন মামলা দায়ের, ধরপাকড়, বিচার-আচার, জামিন, ইত্যাদি। কিন্তু মৌলবাদিদের বিরুদ্ধে সরকারের রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত অপরিস্কার ও সুবিধাবাদী।সন্ত্রাসবাদ ও মৌলবাদীদের বিরুদ্ধে কঠোর রাজনৈতিক অবস্থান নিলে “ভোট কমে যাবে” এই ভয়ে ভীত সরকার। নইলে একের পর এক ব্লগার হত্যার পটভুমিতে যখন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা উচ্চারণ করেন যে, “কারো ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়া অনুচিত”, -সেই শেখ হাসিনাই পুরোহিত হত্যাকান্ডে (সচেতনে বা অবচেতনে) নিশ্চুপ থাকেন। এতে করে দিন শেষে যে ঐ মৌলবাদ এবং মৌলবাদীরাই উৎসাহিত হয়, -সেটা আমাদের রাষ্ট্রনায়কদের বুঝতে হবে।
আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের সর্বপ্রাচীন এবং সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল। দলটি বর্তমানে ক্ষমতাসীনও বটে। দেশের সকল শুভ শক্তির প্রত্যাশাও এই দলটিরই কাছে। সেই ১৯৪৯ সালে আত্মপ্রকাশের অব্যবহিত পরেই জন্মনাম “আওয়ামী মুসলিম লীগ” থেকে “মুসলিম” শব্দটি ছেঁটে দিয়ে শুধু “আওয়ামী লীগ” নাম ধারণ করে দলটি তার ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্রের পরিচয় প্রকাশ করেছিলো।দেশের মানুষ সেদিন এ অসাম্প্রদায়িক দলটিকে আস্থায় নিয়েছিলো। এই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নেতৃত্বে বাংলাদেশের স্বাধীনতাও এসেছে।
কিন্তু আজ কোথায় আওয়ামী লীগের সেই অসাম্প্রদায়িক আদর্শ? ভোটের রাজনীতির গ্যাড়াকলে পড়ে তাদের ধর্মনিরপেক্ষতাতো “বুলি সর্বস্ব” হয়ে দাঁড়িয়েছে।আওয়ামী রাজনীতির অসাম্প্রদায়িক চেতনা আজ তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। পঁচাত্তরের পট পরিবর্তনের পরে জিয়া-এরশাদ-খালেদাদের সব থেকে বড় সফলতা হলো, ওরা ওদের প্রধান রাজনৈতিক মিত্র জামায়াতে ইসলামীর সহায়তায় বাংলাদেশের একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠির মননকে ইসলামীকরণ করতে পেরেছে। এর বিপরীতে আওয়ামী লীগ কোন কার্যকর রাজনৈতিক দর্শন জনগণের সামনে উপস্থিত করতে পারেনি। এখন ভোটের রাজনীতিতে “ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের” ভোট প্রাপ্তির প্রত্যাশায় নিজ দল, সরকার, রাষ্ট্র, ইত্যাদি সব কিছুরই ইসলামীকরণে উঠে পড়ে লেগেছে। আওয়ামীরা দৃশ্যত মুক্ত চিন্তার বিরুদ্ধেই অবস্থান নিয়েছে।
হেফাজতিদের প্রশ্রয় দিচ্ছে, মত প্রকাশ ও গণতন্ত্রের চর্চ্চাকে নিরুৎসাহিত করছে। এর অনিবার্য ফলশ্রুতিতে যুক্তিহীন অন্ধচিন্তা, মৌলবাদ ও ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টিকারীদের পালে হাওয়া লেগেছে। এ অপগন্ডরা বুঝে ফেলেছে যে, চূড়ান্ত বিচারে “ভোটের কাঙ্গাল” এ সরকার মেরুদন্ড সোজা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারবে না।বহি:বিশ্বে দেশের ভাবমূর্তি আজ বিপন্ন। দেশের জনমানব আতঙ্কগ্রস্থ ও নিরাপত্তাহীন।
সংকটের এই মুহুর্তে বঙ্গবন্ধু কন্যা, আওয়ামী ঘরানার নেত্রী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, -আপনি কি করবেন? ভোটের বাক্স আগলে ক্ষমতা রক্ষা করবেন নাকি দেশের মানুষের নিরাপত্তা দেবেন? কোনটি আপনার অগ্রাধিকার তা দেখবার অপেক্ষায় আমরা!এ নিবন্ধের কিছু কথা আওয়ামী বন্ধুদের তুষ্ট করবে না, সমালোচনা নেবার সংস্কৃতিতো তাঁদের তেমন সমৃদ্ধও নয়। দেখুন সব কিছুর পরেও আপনারাই শেষ ভরসা, তাই এটুকু আকুতি জানাচ্ছি।রেগেমেগে আবার যেন চাপাতিদের দিয়ে শায়েস্তা করাবেন না। শেষ চাওয়াটুকু বলে আজকের মত ক্ষান্ত দেই। ব্যক্তি জ্ঞানের উন্মেষ চাই, মুক্ত চিন্তার সমাজ কাঠামো চাই, প্রগতিবান্ধব সরকার চাই, আর সর্বমত সুরক্ষাকারী রাষ্ট্র চাই। এ কি খুব বেশি কিছু চাওয়া হলো? এটুকু কি মৌলিক চাওয়ারই আওতাভুক্ত নয়?
(এ বিভাগে প্রকাশিত মতামত লেখকের নিজস্ব। চ্যানেল আই অনলাইন এবং চ্যানেল আই-এর সম্পাদকীয় নীতির সঙ্গে প্রকাশিত মতামত সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে।)