বছরের শেষে এসেও টেক জায়ান্ট গুগল বাজারে আনলো নতুন আরেকটি পণ্য। ‘পিক্সেল সি’ নামের ট্যাবলেটটি এ বছর বাজারে আসা গুগলের শেষ পণ্য।
পিক্সেল সি’র ১০.২ ইঞ্চি ২৫৬০X১৮০০ পিক্সেলের আলট্রা হাই রেজ্যুলেশনের ডিসপ্লেটি এখন পর্যন্ত বাজারে আসা ট্যাবলেটগুলোর মধ্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল। ছবি, ভিডিও এবং মুভি দেখার জন্য ডিসপ্লেটি অসাধারণ। সাথে রয়েছে উচ্চ মানের গ্রাফিক্স হর্সপাওয়ার এবং স্টেরিও স্পিকার, যা ভিডিও এবং মুভি দেখার পাশাপাশি গেম খেলায় যোগ করেছে নতুন মাত্রা।
৩৯৮ গ্রাম ওজনের পিক্সেল সি অ্যাপলের জনপ্রিয় ট্যাবলেট আইপ্যাড এয়ার টু’র চেয়ে আকারে সামান্য বড় (আইপ্যাড এয়ার ৯.৭ ইঞ্চি) হলেও হালকা। তবে আইপ্যাডের চেয়ে সামান্য মোটা (০.২৮ ইঞ্চি)। ফলে আইপ্যাডের তুলনায় এটি ব্যবহার করা তুলনামূলকভাবে বেশি সুবিধাজনক।
সুদৃশ্য মেটাল বডির পিক্সেল সিতেও পিক্সেল মডেলের আগের ট্যাবলেটগুলোর মতো মাল্টিকালার ব্যাটারি ইন্ডিকেটর যোগ করা হয়েছে, যা ট্যাবলেটটিকে করেছে আরো বেশি সুন্দর।
পিক্সেল সি-ই বাজারের প্রথম ট্যাবলেট, যেখানে অ্যান্ড্রয়েডের সর্বশেষ সংস্করণ মার্শম্যালো ৬.০.১ ব্যবহার করা হয়েছে। এতে আছে শক্তিশালী টেগ্রা এক্স ওয়ান চিপ। অবশ্য এরপরও একসঙ্গে অনেকগুলো কাজ করার সময় ডিভাইসটির টাচ-সংবেদনশীলতা কিছুটা ধীর হয়ে যায়।
পেছনে ৮ মেগাপিক্সেল এবং সামনে ২ মেগাপিক্সেল ক্যামেরাযুক্ত ট্যাবলেটটি দিয়ে সহজেই ভিডিও চ্যাট করা যায়। এতে সব ধরণের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ব্যবহারের পাশাপাশি মাইক্রোসফট অফিসও ব্যবহার করা সম্ভব।
শক্তিশালী ব্যাটারি এবং অ্যান্ড্রয়েড মার্শম্যালো’র কল্যাণে টানা ১০ ঘণ্টারও বেশি ব্যবহার করা যাবে পিক্সেল সি।
তবে ট্যাবলেটটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় বৈশিষ্ট্যের একটি হলো এর কি-বোর্ড। শুধুমাত্র পিক্সেল সি মডেলের জন্যই তৈরি করা এই কি-বোর্ডটি আলাদা কিনতে পাওয়া যায়। কি-বোর্ডটি ট্যাবলেটের সঙ্গে চুম্বকের মাধ্যমে আটকায় এবং ব্লু-টুথের সাহায্যে যুক্ত হয়।
অবশ্য ইউজার গাইডটি আগে পড়ে না নিলে সাধারণ মানুষের পক্ষে কি-বোর্ডটি চুম্বকের সাহায্যে ট্যাবলেটে লাগানোটা বেশ কঠিন। তবে একবার লাগানো শিখে গেলে এটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। তখন এটি হয়ে যায় ছোটখাটো এটি ল্যাপটপ।
আপাতত পিক্সেল সি ট্যাবলেটটির দাম ৪৯৯ এবং কি-বোর্ডটির দাম ১৪৯ মার্কিন ডলার ধরা হয়েছে।