দুই লাখের বেশি ভোটে হারার পর গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে সেখানে পুনরায় ভোট গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
বুধবার সকাল ১১টায় দলের চেয়ারপার্সনের গুলশান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এমন দাবি করেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় সরকার গাজীপুরে বিজয় ছিনিয়ে নিয়েছে। আইন-শৃংখলা বাহিনী, প্রশাসনসহ রাষ্ট্রের সব যন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনের ফল নিজেদের পক্ষে নিয়েছে।’
আবারো নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনের দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
এসময় কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অভিযোগ আনলেও আগামীতে সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহীর নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে বলে জানান মির্জা ফখরুল।
এরই মধ্যে ঘোষিত ফলাফলে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন।
৪১৬টি কেন্দ্রের ফলাফল অনুযায়ী নৌকা প্রতীকে চার লাখ ১০ ভোট পেয়েছেন তিনি। তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির হাসান উদ্দিন সরকারের প্রাপ্ত ভোট এক লাখ ৯৭ হাজার ৬১১।
ইসি’র তথ্যানুযায়ী, গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি ছিল প্রায় ৬৫ শতাংশ।
আয়তনের দিক থেকে সবচেয়ে বড় এই সিটিতে এবারই প্রথম দলীয় প্রতীকে ভোট দেন গাজীপুর নগরবাসী। ৫৭টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ১১ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৭জন। এর মধ্যে ৫ লাখ ৭৯ হাজার ৯৩৫ জন পুরুষ এবং ৫ লাখ ৬৭ হাজার ৮০১ জন নারী ভোটার।
৫৭টি ওয়ার্ড কাউন্সিলরের মধ্যে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর আগেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়ায় বাকি ৫৬টি ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ভোট নেওয়া হয়। যাতে কাউন্সিলর হিসেবে ২৫৪জন ও সংরক্ষিত ১৯ মহিলা ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদে ৮৪জন লড়াই করে। মেয়র পদে অংশ নেয় ৭ জন প্রার্থী।
সর্বমোট ৩৪৫জন প্রার্থী গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
তবে শুরু থেকেই এই নির্বাচন নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ করে বিএনপির।