পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে রাউন্ড রবিন লিগ শেষ করা আবাহনী লিমিটেড সেরা ছয়ের সুপার লিগে দারুণ সূচনা করেছে। শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ভারতীয় ক্রিকেটার হনুমা বিহারির সেঞ্চুরির দিনে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সকে ৭৩ রানে হারিয়ে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষস্থান অক্ষুণ্ণ রেখেছে আকাশী-নীল শিবির।
আবাহনীর দেয়া ২৭৯ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ২০৫ রানে গুটিয়ে যায় গাজী। আবাহনী বোলারদের দাপটে ৪৩ ওভারে শেষ হয় ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের ইনিংস।
প্রবীর মজুমদার ৬৪, মুমিনুল হক ৪৬, জাকের আলী ২৯ রানে অপরাজিত থাকেন।
সানজামুল ইসলাম নেন চার উইকেট। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা, তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজ দুটি করে উইকেট নেন।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ধুঁকলেও বিহারির ১০৯ ও মোহাম্মদ মিঠুনের অপরাজিত ৭২ রানের ইনিংসে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রানের লড়াকু পুঁজি গড়ে আবাহনী। শেষদিকে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ব্যাট হাতে ঝড় তুলে দলের রান বাড়িয়ে নেন। ৬ বলে ২৩ রান করে অপরাজিত থাকেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
দলের রান আড়াইশ পেরিয়ে গেলে আট নম্বর ব্যাটসম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন মোসাদ্দেক। তিন ছক্কা ও এক চারে সাজান ৬ বলের ইনিংসটি। অফস্পিনার নাঈম হাসানের করা শেষ ওভারে চার বল মোকাবেলা করে মোসাদ্দেক তোলেন ২২ রান।
তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পেয়ে উইকেটের পেছন দিয়ে মারেন বাউন্ডারি। আর শেষের তিন বলে মারেন দর্শনীয় তিনটি ছক্কা। প্রথমটি মারেন এক্সট্রা কাভারের উপর দিয়ে। পরেরটি সোজা ব্যাটে সাইডস্ক্রিনের পাশে। শেষেরটি আছড়ে ফেলেন লংঅফে গ্যালারির কাছে।
ব্যাটিংয়ের শেষটা দুর্দান্ত হওয়ায় বোলাররা পান বাড়তি উদ্যম। ২৫ রানের মধ্যেই গাজীর তিন ব্যাটসম্যানকে সাজঘরে পাঠিয়ে ম্যাচ নিজেদের করে নেয় আবাহনী। সেখান থেকে আর বের হতে পারেনি তারা।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৫ বলে ৫ রান করে সানজামুলের বলে এলবিডব্লিউ হন জহুরুল ইসলাম। নিধাস ট্রফিতে টাইগার স্কোয়াডে থাকা ইমরুল কায়েস ২৫ বল খেলে ৫ রান করে আউট হন মাশরাফীর বলে। তারা বাজে শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি মুমিনুল ও মজুমদারের লড়াইয়ের পরও।
১২ ম্যাচে আবাহনীর পয়েন্ট ১৮। সমান ম্যাচে গাজীর পয়েন্ট ১২। শিরোপার লড়াই থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা।