পাবলিক পরীক্ষায় গাইড নির্ভর প্রশ্ন করলে শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
একই সঙ্গে পাবলিক পরীক্ষা পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনার ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয় বলছে, শিক্ষাবিদদের সুপারিশেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা থেকে শুরু করে এইচএসসি পর্যন্ত এখন পাবলিক পরীক্ষা চারটি। এসব পরীক্ষার পদ্ধতি নিয়ে অভিভাবক-শিক্ষকই নয়, অভিযোগ শিক্ষাবিদদেরও।
গত কয়েক মাস শিক্ষাবিদ এবং শিক্ষকদের সঙ্গে ধারাবাহিক মন্ত্রণালয়ের বৈঠক থেকে উঠে আসা নানা সুপারিশ সমন্বয় করে নতুন সিদ্ধান্তে এসেছে মন্ত্রণালয়। মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন বিষয়ে সেকায়েপ প্রকল্পের অনুষ্ঠান শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতির পরীক্ষা চলবে না। দেড়মাস এসএসসি পরীক্ষা, আড়াইমাস এইচএসসি পরীক্ষা। পড়বে কখন? পরীক্ষাকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা আরো সহজ করে দিবো, যেন তাদের জন্য শিক্ষা সহজ হয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা শিখলেই হলো এবং কতটা শিখলো সেটাই কেবল যাচাই করা হবে।
মন্ত্রী জানান, গাইড নির্ভরতা কমাতে নতুন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন সিদ্ধান্তে শিক্ষকদেরও শাস্তির আওতায় আনা হচ্ছে।
তিনি বলেন, গাইড বই থেকে কেউ কোনো প্রশ্ন করতে পারবে না। গাইড থেকে প্রশ্ন করলে ওরা তো গাইড পড়েই নিচ্ছে। গাইড থেকে প্রশ্ন করলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের যাতে আরো সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা যায় এমন পরীক্ষা পদ্ধতির দিকে যাচ্ছে মন্ত্রণালয়।