পবিত্র ঈদুল আযহা উৎসবমুখর ও নিরাপদ করতে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা পরিকল্পনা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
কোরবানির পশুর হাট সমূহের ব্যবস্থাপনা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ ঢাকা মহানগরীর সকল বিপনী বিতান, ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান/ব্যক্তির টাকা লেনদেন ও পরিবহনে মানি এস্কর্ট ব্যবস্থা প্রবর্তন, সকল লঞ্চ ও বাস টার্মিনাল কেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এবার পশুর হাটের স্বাস্থ্য বিধিমালা মানতে নির্দেশনা দিয়েছে ডিএমপি।
রোববার ডিএমপির এক নির্দেশনায় কোরবানির পশুর হাটে ইজারাদার ও ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে বলা হয়েছে।
কোরবানির হাটের জন্য স্বাস্থ্য বিধিমালাঃ
প্রতিটি হাটের প্রবেশ পথ ও প্রস্থানের পথ পৃথক করতে হবে।
হাটে প্রবেশের মুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক হাত ধোয়ার জন্য বেসিন, পানির ট্যাংক ও সাবান এবং পৃথকভাবে হ্যান্ড সেনিটাইজার রাখার ব্যবস্থা করতে হবে।
হাটে প্রবেশের মুখে প্রয়োজনীয় সংখ্যক তাপমাত্রা মাপার যন্ত্রসহ লোক রাখতে হবে।
কোনক্রমেই ফেস মাস্ক ছাড়া কোন লোককে হাটে ঢুকতে দেয়া যাবে না।
হাটে সামাজিক দূরত্ব কমপক্ষে ৩ ফুট কঠোরভাবে বজায় রাখতে হবে।
করোনার সন্দেহজন উপসর্গ যেমন জ্বর, সর্দি-কাশি, শরীর ব্যাথা ইত্যাদি নিয়ে কোন ব্যক্তি কোনক্রমেই হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।
যত কম সময়ে সম্ভব কোরবানীর পশু কিনে হাট ত্যাগ করতে হবে।
একজন বিক্রেতার নিকট বেশী ক্রেতা অযথা ভিড় করা যাবে না।
অসুস্থ প্রাণী কোনক্রমেই হাটে বেচাকেনার জন্য আনা যাবে না।
শিশু ও ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের হাটে প্রবেশে নিরুৎসাহিত করতে হবে।
ডিএমপি জানায়, স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি অমান্যকারীর বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।