ভিসা জটিলতায় বিমানের একটি ফ্লাইট বাতিল হওয়ায় এলোমেলো হয়ে পড়েছে হজযাত্রীদের ফ্লাইট সিডিউল।
ভিসা জটিলতা কেটে যাওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করে ধর্ম সচিব বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ১ হাজার ৭শ ৫৮ জনের বাইরে এবছর আর কারো হজে যাওয়ার সুযোগ নেই ।
এখন পর্যন্ত ৬২ হাজারের মতো বাংলাদেশীর হজ ভিসা হয়েছে। প্রথম দিকে ভিসা জটিলতায় হজযাত্রী না থাকায় বাতিল করা হয়েছে বিমানের একটি হজ ফ্লাইট। আরো কয়েকটি ফ্লাইটে আসন ফাঁকা গেছে।
পরিস্থিতি দেখতে মধ্যরাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে আসেন ধর্ম সচিব। সঙ্গে ছিলেন হজ পরিচালক। কাউকে কিছু না বলে সোজা চলে যান এয়ারক্রাফটে। হজযাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের খোঁজ খবর নেন তিনি।
অনেকেই বলেছেন নির্ধারিত ফ্লাইটে যেতে পারছেন না কেউই। তারপরেও কাবা শরীফের উদ্দেশ্যে বিমানে উঠতে পেরে সবাই খুশী।
যাত্রীরা জানান, আল্লাহ রহমতে হজে যাচ্ছেন তারা। দেশ ও সকলের উন্নতির জন্য দোয়া করবেন।
এয়ার ক্রাফটের ভিতরেই ধর্মসচিব চৌধুরী মো: বাবুল হাসান বললেন পরের দিকে এই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার কথা।
তিনি জানান, উদ্দেশ্য ছিল আমাদের হজ যাত্রীদের ফ্লাইটের ভেতরে বা ফ্লাইটের ভেতর পর্যন্ত আসতে কোনো ঝামেলা হয় কিনা, বোঝা গেলো একটা ফ্লাইট যেটা বাতিল হয়েছিল সেটার জন্য হজ যাত্রীদের দুই তিন দিন বেশী হজ ক্যাম্পে থাকতে হলো।
সৌদি আরবের ই-ভিসার পদ্ধতির সঙ্গে ধর্মমন্ত্রণালয়ের নিয়োগ দেওয়া হজের ডাটা এন্ট্রির দায়িত্বপ্রাপ্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠান বিজনেস অটোমেশন লিমিটেডের সমন্বয়হীনতার কারণেই প্রথম দিকে ভিসা জটিলতা সৃষ্টি হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশ থেকে হজের প্রথম ফ্লাইট শুরু হয়েছে ১৬ আগস্ট থেকে। এখন পর্যন্ত প্রায় সরকারী বেসরকারী মিলে প্রায় ২২ হাজার বাংলাদেশী হজ যাত্রী সৌদি আরব পৌঁছেছেন।
পবিত্র কাবার পথে রওনা হওয়া আল্লাহর এই মেহমানদের মুখে উচ্চারিত হচ্ছে লাব্বাইক আল্লাহুমা লাব্বাইক।