বিশ্ব ক্রিকেটে অনেক ফাস্ট বোলার ছিলেন এবং আছেন। বেশিভাগ বোলার যখন ঘণ্টায় ৯০ মাইল গতির ঘর স্পর্শ করতে পারেননি। তখন কেউ কেউ আবার গতির ঝড় তুলে ছাড়িয়ে গেছেন ১শ’ মাইলের গণ্ডি। জেনে নেওয়া যাক ক্রিকেটের সেই গতি দানবদের নাম ও রেকর্ড।
অ্যান্ডি রবাটস: ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো এতো ফাস্ট বোলার আর কোনো ক্রিকেট খেলুড়ে দেশই জন্ম দিতে পারেনি। ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলারদের মধ্যে এখনো পর্যন্ত সেরা যাকে ধরা হয় তিনি অ্যান্ডি রবাটস। তিনি প্রথম ফাস্ট বোলার যিনি গতির ঝড় তুলে ৯০ মাইলের ঘর স্পর্শ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পার্থ টেস্টে ৯০ দশমিক ১ মাইল গতির বলটি করেছিলেন রবাটস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্বর্ণযুগে রবাটসের সতীর্থ ও উত্তরসুরী ছিলেন মাইকেল হোল্ডিং, জোয়েল গার্নার, কলিন ক্রফট, কাটলি অ্যামব্রোস, কার্টনি ওয়ালসরা। গতির ঝড় তুলে ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ দুটি বিশ্বকাপ জিততে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সাহায্য করেছেন রবাটস।
জেফ থমসন: রবাটসের গড়া সর্বোচ্চ গতির রেকর্ড ভেঙে দেন অস্ট্রেলিয়ার ফাস্ট বোলার জেফ থমসন। ১৯৭৬ সালে সেই পার্থে ওয়াকাতেই ৯৯ দশমিক ৮ গতির বল করে ক্যারিবীয় তারকার রেকর্ড ভেঙে দেন থমসন। তবে তার বিশ্বাস তিনি ঘণ্টায় ১শ ১০ মাইল পর্যন্ত বলে করেছেন। ডেনিস লিলি’র সাথে মিলে বিশ্ব ক্রিকেটে ত্রাস ছড়ানো জুটি গড়েছিলেন থমসন।
ব্রেট লি: থমসনের গতির রেকর্ড আবার ভেঙে দেন তার স্বদেশী ব্রেট লি। তবে দেশে নয় বিদেশের মাটিতে রেকর্ড গড়েন লি। ২০০৫ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নেপিয়ারে ওয়ানডেতে ঘণ্টায় ১০০ দশমিক ১ মাইল গতির বল করেন তিনি। প্রায় সবসময় ৯০ মাইল গতির বল করা লি টেস্ট ও ওয়ানডে মিলে ৭শ’র বেশি উইকেট নিয়েছেন।
শন টেইট: ব্রেট লি’র রেকর্ড ভাঙতে না পারলেও তাকে স্পর্শ করেন তারই স্বদেশী শন টেইট। ২০১০ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ম্যাচে ঘণ্টায় ১০০ দশমিক ১ মাইল গতির বল করে লিকে স্পর্শ করেন টেইট।
শোয়েব আখতার: ক্রিকেটে গতির কথা সামনে আসলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে পাকিস্তানের শোয়েব আখতারের নাম। গতির রেকর্ডটি এখনো দখলে রেখেছেন রাওয়াল পিন্ডি এক্সপ্রেস। ২০০৩ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০০ দশমিক ২ মাইল গতিতে বল করে রেকর্ড গড়েন শোয়েব। মাঠ আর মাঠের বাইরের নানা বিতর্ক এবং ইনজুরির কারণে বিবর্ণভাবেই ক্যারিয়ার শেষ হয় তার।