গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারী অপরাধ জানিয়ে পুলিশ সদর দপ্তর বলছে: গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের শামিল।
শনিবার বিকেলে পুলিশ সদর দফতরের এআইজি (মিডিয়া) সোহেল রানা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শনিবার রাজধানী ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে দুই জন নিহত হয়েছে।
উত্তর বাড্ডায় ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে অজ্ঞাত পরিচয়ে (৪০) এক নারীর মৃত্যু হয়। নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ছেলে ধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে এক যুবক নিহত হয়। সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি এলাকায় প্লে গ্রুপের এক শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সন্দেহে এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে বৃহস্পতিবার নেত্রকোণায় শিশু সজিবকে হত্যা করে তার কাটা মাথা ব্যাগে নিয়ে হত্যাকারী রবিন নেত্রকোণার নিউটাউন অনন্ত পুকুরপাড়ে তারেক মিয়ার বাসার গেটের সামনে গেলে স্থানীয় লোকজন তার গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাকে ধরে ফেলে এবং গণপিটুনি দেয়। গণপিটুনিতে রবিন ঘটনাস্থলে নিহত হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পদ্মা সেতু নির্মাণে মানুষের মাথা লাগবে’ বলে একটি গুজব ছড়ানোকে কেন্দ্র করে সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন স্থানে ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনিতে মর্মান্তিকভাবে কয়েকজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।
গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা রাষ্ট্রবিরোধী কাজের সামিল এবং গণপিটুনি দিয়ে মৃত্যু ঘটানো ফৌজদারী অপরাধ।
ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির শিকার হয়ে এ পর্যন্ত যতগুলো নিহতের ঘটনা ঘটেছে পুলিশ প্রত্যেকটি ঘটনা আমলে নিয়ে তদন্তে নেমেছে। এসব ঘটনায় জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার জন্য সকলের প্রতি অনুরোধ জানানো হচ্ছে। গুজব ছড়ানো এবং গুজবে কান দেওয়া থেকে বিরত থাকুন। কাউকে ছেলেধরা সন্দেহ হলে গণপিটুনি না দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দিন।