করোনাভাইরাস মহামারির বিস্তার বোধে চলমান লকডাউনের কারণে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় বিক্ষোভ করেছে হবিগঞ্জ ও নরসিংদীর পরিবহন শ্রমিকরা। এসময় ৫ দফা দাবিও জানায় তারা।
নরসিংদী
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নরসিংদীতে গণপরিবহন ও পণ্য পরিবহন স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালু করাসহ ৫ দফা দাবিতে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করছে জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন ও আন্তঃজেলা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।
শুক্রবার দুপুরে নরসিংদী পৌর আন্তঃজেলা বাস টার্মিনালের সামনে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এসময় বাসের ড্রাইভার, হেলপার, শ্রমিক সহ মালিকরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচিতে বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশনের ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন মৃধা জানান, সরকার লকডাউনের নামে গণ ও পণ্য পরিবহন বাদে সব রকম পরিবহন চালু রাখা হয়। এতে নরসিংদীসহ সারাদেশে অর্থ ও খাদ্য সংকটে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।
তারা বলেন, অনতিবিলম্বে সরকার এসব ন্যয্য দাবি মেনে না নিলে তারা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবেন।
বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ ৫ দফা দাবি পেশ করেন। তাদের দাবিগুলো হলো। ১) স্বাস্থ্যবিধি মেনে মোট আসনের অর্ধেক যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন ও পণ্যপরিবহন চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে (২) সড়ক পরিবহন শ্রমিকদের আর্থিক অনুদান ও খাদ্য সহায়তা প্রদান করতে হবে (৩) সারা দেশে বাস ও ট্রাক টার্মিনালগুলোতে পরিবহন শ্রমিকদের জন্য ১০ টাকায় ওএমএসের চাল বিক্রির ব্যবস্থা করতে হবে ৪) গাড়ির কাগজপত্র নবায়ন জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা ও ৫) মালিকদের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দিতে হবে।
হবিগঞ্জ
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গাড়ি চলাচলসহ ৫ দফা দাবিতে হবিগঞ্জে সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে।
সকাল ১১ থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত হবিগঞ্জ পৌর বাস টার্মিনালে হবিগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক পরিষদের উদ্যোগে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
এ সময় বক্তারা বলেন, পবিত্র ঈদুল ফিতরে দূরপাল্লার যাত্রীরা বিভিন্ন পরিবহনে গাদাগাদি করে বাড়িতে ফিরেছেন। এতে কোন ধরণের স্বাস্থ্যবিধি যেমন মানা হয়নি, তেমনি দ্বিগুণ ভাড়াও গুণতে হয়েছে। বাসসহ হবিগঞ্জ সড়ক পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদের আওতাধীন পরিবহনগুলোকে চলাচল করার সুযোগ দিলে তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার যাত্রীদের নিয়ে আসতে পারতো।
অবিলম্বে তারা গণপরিবহন চলাচলের দাবি জানান। এছাড়াও শ্রমিকদের ১০ কেজি চাল দেয়াসহ ৫ দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানানো হয়।