কিছু সবজি বা ফল রয়েছে যা খোসা ছাড়িয়ে খাওয়া উচিত। তবে এমন ছ’টি উপকারী জিনিস রয়েছে যার খোসা ছাড়িয়ে নয় খোসাযুক্ত খাওয়া বেশি উপকারী। এদের মধ্যে আলু অন্যতম। আলুর খোসা ছাড়িয়ে খেলে যে পুষ্টি পাওয়া যায় তার দ্বিগুন পাওয়া যায় খোসাযুক্ত অবস্থায়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কয়েকটি সবজি ও ফল রয়েছে যা খোসা ছাড়িয়ে রান্না করা বা খাওয়া উচিত নয়। খোসাতেই নাকি তার বেশির ভাগ পুষ্টিগুণ রয়েছে।
আলু: পটেটো স্যালাড বা ম্যাসড পটেটোর তৈরি করতে সিদ্ধ আলুর খোসা ছাড়ানো হয় কিন্তু মোটেই এটি ঠিছক নয়। আলুর মধ্যে যে ভিটামিন ‘বি বা মিনারেল আছে তার ২০ শতাংশই থাকে খোসার মধ্যে। এমনকি সমস্ত ফাইবারও থাকে আলুর খোসার মধ্যেই। ফলে খোসা ছাড়ালে আলুর পুষ্টিগুণ অনেকটাই কমে যায়।
বেগুন: বেগুনের খোসাতে নাসুনিন নামের একটি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। সেল ড্যামেজ রুখতে এবং বিভিন্ন বয়সজনিত অসুখবিসুখে এটি খুবই কার্যকরী। ফলে বেগুনের খোসা ছাড়িয়ে খেলে তা কিন্তু অ্যান্টি-এজিংয়ের বিরুদ্ধে লড়াইতে আপনাকে অনেকটাই পিছিয়ে দেয়।
মিষ্টি আলু: মিষ্টি আলুর খোসায় রয়েছে ভিটামিন সি, বেটাক্যারোটিন এবং পটাশিয়াম। ফলে তা ছাড়িয়ে খেলে এই উপাদানগুলি কিন্তু বাদ পড়ছে আপনার ডায়েট থেকে।
শশা: শশার খোসায় প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ফাইবার রয়েছে। ফলে ইমিউনিটি বাড়াতে বা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে খুবই কাজে দেয় শশা। কিন্তু বেশির ভাগ গৃহিনীরা স্যালাড তৈরির সময় শশার খোসা বাদ দিয়ে দেন।
গাজর: শশার মতো গাজরেও সমস্ত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে এর খোসাতে। কিন্তু খোসা ছাড়ানো গাজর খেলে তার পুষ্টিগুণ ব্যাহত হয়। খোসা না ছাড়িয়ে ভাল করে ধুয়ে গাজর রান্না করা উচিত।
আপেল: হজমের গোলমাল হয় বলে অনেকেই আপেলের খোসা ছাড়িয়ে খান। আপেলের খোসায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। খোসা ছাড়ালে তা বের হয়ে যায়। আপেলের খোসার মধ্যে ভিটামিন সি-সহ ট্রিটারপেনয়েডস রয়েছে, যা ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উপযোগী।