এক ম্যাচ আগেও ছিলেন ‘অখ্যাত’ এক ক্রিকেটার। বিপিএলে পাঁচ ম্যাচে সর্বোচ্চ ইনিংসটি ছিল কেবল ১০ রানের। দুই ইনিংসে আউট হন আবার রানের খাতা খোলার আগেই। রাজশাহী কিংসের সেই ব্যাটসম্যানের কাছ থেকেই এলো ষষ্ঠ আসরের প্রথম সেঞ্চুরি।
ইংলিশ ক্রিকেটার লরি ইভান্স এবারই প্রথম বিপিএল খেলতে এসেছেন। শুরুতে ব্যাট করতেন ছয় নম্বরে। রানে ফেরাতে আগের ম্যাচে নামানো হয় ওপেনিংয়ে। তাতে অবশ্য কাজ হয়নি। উল্টো মেরে বসেন ‘ডাক’।
পাঁচ ম্যাচে একজন ব্যাটসম্যান মাত্র ১৩ রান করলে স্বাভাবিকভাবেই একাদশে থাকার সম্ভাবনা কমে আসে। কিন্তু রাজশাহীর টিম ম্যানেজমেন্ট আরেকটি সুযোগ দিয়ে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে খেলালেন ওপেনার হিসেবেই। আস্থার প্রতিদান দারুণভাবেই দিয়েছেন। ৩১ বছর বয়সী ইভান্স খেলেন ৬২ বলে অপরাজিত ১০৪ রানের অসাধারণ ইনিংস।
ম্যাচ শেষে ইভান্স জানালেন ছন্দ হারিয়েও খেলার সুযোগ আসবে তা ভাবতেই পারেননি, ‘এটা আমার কাছে বিশেষ কিছুই। আমি আমার কোচ ও স্বত্ত্বাধীকারীর প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাকে এমন একটি সুযোগ দিয়েছে। এটা আমি ভাবিইনি।’
‘অসাধারণ লাগছে। এখন পর্যন্ত এটাই (সেঞ্চুরি) কিছুটা কঠিন ছিল। এমনও হতে পারে পরের ম্যাচে আমি প্রথম বলেই আউট হয়ে গেছি। অতএব আপনাকে আপনার লেভেল বুঝে খেলতে হবে। সেটা যতখানি সম্ভব। যখন সময় খারাপ যায় তখন নিজের ওপর বিশ্বাসটা রাখা জরুরি। অবশ্যই আমি ভাবিনি যে সেঞ্চুরি করবো।’
আগে ব্যাট করা রাজশাহী ২৮ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে শুরুতে ধুঁকছিল। সব দায়িত্ব যেন একাই কাঁধে তুলে নেন ইভান্স। ৯ চার, ৬ ছক্কায় অপরাজিত ইনিংস।
দলকে টেনে তোলার লড়াইয়ে সহযোদ্ধা হিসেবে পেয়েছিলেন রায়ান টেন ডেসকাটকে। ডাচ ব্যাটসম্যান ৪১ বলে ৫৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুজনে চতুর্থ উইকেট জুটিতে অবিচ্ছন্ন থেকে যোগ করেন ১৪৮ রান। তাতে রাজশাহীর পুঁজিটাও হয়ে যায় বড় (১৭৬)। পরে কামরুল ইসলাম রাব্বি, মোস্তাফিজুর রহমানদের দারুণ বোলিংয়ে আসে ৩৮ রানের জয়।